চলতি বছর প্রায় শেষের দিকে, আর এই বছর শেষ হলেই মেয়াদ ফুরাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের। তাই তো এটি নিয়ে এখন সরব দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ভক্ত-সমর্থকদের মনে প্রশ্ন জেগেছে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশাররাই থাকবেন নাকি নতুন কেউ আসবেন গুরুত্বপূর্ণ এই পদে।
ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কথায় অবশ্য পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে বোর্ড প্রেসিডেন্টের কথা হয়েছে, বাকি মেম্বাররাও কথা বলেছেন। নতুন কাউকে চিফ সিলেক্টর করাটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার, সবাইকে ব্রেইনস্টর্ম করতে হচ্ছে।’
এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচকের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন আবদুর রাজ্জাক রাজ, বছরদুয়েক আগেই দল নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। এবার হয়তো প্রমোশন পেয়ে হয়ে যেতে পারেন প্যানেলের প্রধান। এই স্পিনার ক্রিকেট ছেড়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি, তাই তো অধিকাংশ খেলোয়াড়কে তিনি খুব কাছ থেকেই দেখেছেন বড় একটা সময় – তাঁদের শক্তি আর দুর্বলতার জায়গাও জানা আছে তাঁর।
অস্ট্রেলিয়ার জর্জ বেইলি মাত্র ৪১ বছর বয়সেই অজি দলের নির্বাচক বনে গিয়েছেন। ক্রিকেটারদের সাথে দারুণ বোঝাপড়ার কল্যাণে নিজের কাজটা ভালভাবেই করতে পারছেন তিনি। এবার হয়তো সেই পথেই হাঁটতে যাচ্ছে বিসিবি।
এছাড়া জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে থাকা হান্নান সরকারকে। সাবেক এই ক্রিকেটার যুব পর্যায়ে শতভাগ সাফল্য পেয়েছে। আকবর, শরিফুলদের বিশ্বকাপ জয় কিংবা শিবলী, রাব্বিদের এশিয়া জয়ের দলটা তাঁর হাতেই গড়া।
দক্ষিণ আফ্রিকায় হেড কোচ নির্বাচক পরিষদে সরাসরি যুক্ত থাকেন। বাংলাদেশে সেটা না হলেও দল তৈরিতে কোচের প্রভাব ‘ওপেন সিক্রেট’। তাহলে কি নতুন প্যানেলে চান্দিকা হাতুরুসিংহেকে রাখা হবে সদস্য হিসেবে – উত্তরে জালাল ইউনুস অবশ্য সরাসরি না বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কোচ, ক্যাপ্টেন দুজনের মতামত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু নির্বাচক প্যানেল হবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এখন যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।’
কি ঘটবে, কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে নির্বাচকদের নিয়ে সেটা অবশ্য জানা যাবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে। ততদিন পর্যন্ত না হয় অপেক্ষা করা যাক।