বিশ্বকাপ চলাকালে চোখের সমস্যা ধরা পড়ে সাকিবের

যে বিশ্বকাপকে ঘিরে এত প্রত্যাশা, সেই বিশ্বকাপে সাকিব যেমন পারফর্ম করতে পারেননি, তেমনি দলও নিমজ্জিত হয়েছে ব্যর্থতার ডুব সাগরে। বৈশ্বিক এ আসরে ব্যাট হাতে সাকিবের এতটা অধারাবাহিক হওয়ার কারণ কী? জনপ্রিয় ক্রিকেট গণমাধ্যম ক্রিকবাজের সাথে আলাপকালে সেই সব ব্যাপার নিয়েই এবার কথা বলেছিলেন স্বয়ং সাকিব। টাইগার এ অলরাউন্ডারের মতে, অসম চাপ জেঁকে বসেছিল। আর সেই চাপের কারণেই কিনা পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই চোখের সমস্যায় ভুগেছিলেন সাকিব। 

২০১৯ বিশ্বকাপটা একরকম স্বপ্নের মতোই কাটিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে ৪ বছর বাদে, ২০২৩ বিশ্বকাপে যে সাকিবের দেখা মিলল তা যেন তাঁর অতীতের কঙ্কাল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে এক ৮২ রানের ইনিংস ব্যতিত প্রতি ম্যাচেই মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছেন এ অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে একদমই জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।

যে বিশ্বকাপকে ঘিরে এত প্রত্যাশা, সেই বিশ্বকাপে সাকিব যেমন পারফর্ম করতে পারেননি, তেমনি দলও নিমজ্জিত হয়েছে ব্যর্থতার ডুব সাগরে। বৈশ্বিক এ আসরে ব্যাট হাতে সাকিবের এতটা অধারাবাহিক হওয়ার কারণ কী?

জনপ্রিয় ক্রিকেট গণমাধ্যম ক্রিকবাজের সাথে আলাপকালে সেই সব ব্যাপার নিয়েই এবার কথা বলেছিলেন স্বয়ং সাকিব। টাইগার এ অলরাউন্ডারের মতে, অসম চাপ জেঁকে বসেছিল। আর সেই চাপের কারণেই কিনা পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই চোখের সমস্যায় ভুগেছিলেন সাকিব।

এ নিয়ে তিনি একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা এক বা দুই ম্যাচের জন্য নয়। পুরো বিশ্বকাপই পার করেছি চোখের সমস্যায়। এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। তবে সত্যিই আমি বল খেলতে গিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতাম।’

অবশ্য এমন সমস্যার পরে সাকিব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে ভুল করেন নি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ডাক্তারকে দেখিয়েছিলাম। তাঁরা আমার কর্ণিয়ায় পানি পেয়েছিল। এ কারণে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপও ব্যবহার করেছি। কেন এমন হলো আমি নিজেই জানতাম না। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছিল, প্রবল মানসিক চাপের কারণেই এমন হয়। বিশ্বকাপ শেষের পর আবার যখন আমি আমেরিকাতে পরীক্ষা করাই তখন স্বাভাবিক ছিল। কারণ তাদের মতে, ওই সময়টায় আমি বেশ খানিকটা টেনশন ফ্রি ছিলাম।’

এরপর ২০২৩ বিশ্বকাপে দলগত ব্যর্থতা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘সত্যি বলতে কোনো ব্যাখ্যাই এখন ধোপে টিকবে না। তবে আমি যে দর্শনে চলি, সেভাবে দল প্রস্তুত ছিল না। আমরা যে শুধু বিশ্বকাপে খারাপ করেছি তা নয়, পুরো বছর জুড়েই আমাদের তেমন অর্জন ছিল না।’

ক্রিকেটার সাকিব সম্প্রতি রাজনীতির অঙ্গনেও প্রবেশ করেছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন সাকিব। এখনও যেহেতু ক্রিকেট ছাড়েননি, দুটো পেশাকে এক সুতোয় বাঁধতে পারবেন তো সাকিব? সাকিব অবশ্য এটিকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না। তাঁর মতে, একই সাথে দুটো কাজ চাইলেই করা যায়।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার তো তেমন সমস্যা মনে হচ্ছে না। একসাথে বহু কাজ আমি এর আগে করেছি। এই ব্যস্ততাটাই বরং আমার আত্মবিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করবে। আমি বরাবরই স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড। আশা করছি, তেমন কোনো সমস্যা হবে না আমাকে নিয়ে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...