ধোনির আগ্রাসনের রঙ কেড়ে নিয়েছেন কনওয়ে

কিন্তু বিধিবাম, জেতা তো আর সম্ভব নয়। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। চেন্নাই সুপার কিংসকে এই পরিস্থিতিতে এনেছেন ডেভন কনওয়ে।

সমালোচনার জবাব দিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি চলে এলেন পাঁচ নম্বরে। এসেই করলেন বাজিমাত। ১২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেললেন। এ যেন সেই পুরনো মাহি। যে শুধু বলকে মেরেই যেত! ২২৫ স্ট্রাইকরেটে এদিন ব্যাটিং করলেন তিনি। তিন খানা ছক্কাও দেখা গেল তার ব্যাট থেকে। পুরনো দিনের চিরচেনা সেই ফিনিশার রুপেই যেন আবির্ভূত হতে চেয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু বিধিবাম, জেতা তো আর সম্ভব নয়। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। বুড়িয়ে যাওয়া ধোনি চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু এই বিপুল রান স্রেফ ১২ বলে করা এখনকার মারকুটে ছোকড়াদের জন্যেও ভীষণ কষ্টকর। তার উপর আবার জয়-পরাজয়ের সমীকরণ মাথায় নিয়ে এই কাজ সম্পাদন করা মুশকিল বটে।

চেন্নাই সুপার কিংসকে এই পরিস্থিতিতে এনেছেন ডেভন কনওয়ে। দিনশেষে হয়ত তার পরিসংখ্যান বেশ হৃষ্টপুষ্ট মনে হবে। কেননা তিনি ৪৯ বলে ৬৯ রান করেছেন। ১৪০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস খুব একটা মন্দ তো নয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা যখন ২২০, তখন এই স্ট্রাইকরেটকে অনায়াসে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়।

তাছাড়া সেট ব্যাটার হিসেবে তারই বরং আক্রমণ করার কথা। কিন্তু সেটাও তিনি পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে তাকে রিটায়ার্ড আউট করায় চেন্নাই। ১৩ ওভারের শুরুতে তিনি একটা চার ও একটা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।

এরপর ১৮ তম ওভারের আগে রিটায়ার্ড আউট হন তিনি। মাঝের পাঁচ ওভারে ১২ বল খেলেও তিন কোন বাউন্ডারি আদায় করতে পারেননি।

সেখানেই বরং ম্যাচটা ফসকে গেছে চেন্নাই সুপার কিংসের হাত থেকে। শেষ বেলায় ধোনি নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখিয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিজয়ের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গেলে, সে রাস্তা ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া ভীষণ কঠিন।

Share via
Copy link