চাকরিটা কি বেঁচে গেল হ্যাভিয়ার কাবরেরার!

একটা ম্যাচ, ভিলেন থেকে নায়ক বানিয়ে দিল হ্যাভিয়ের কাবরেরাকে। অন্তত ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কোন বিতর্কের ফাঁকফোকর রাখেননি তিনি। তাঁকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা, সেরা একাদশ নির্বাচনে তাঁর অপারগতা। তবে এই ম্যাচে সেটা বলার সুযোগ অন্তত নেই।

একটা ম্যাচ, ভিলেন থেকে নায়ক বানিয়ে দিল হ্যাভিয়ের কাবরেরাকে। অন্তত ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কোন বিতর্কের ফাঁকফোকর রাখেননি তিনি। তাঁকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা, সেরা একাদশ নির্বাচনে তাঁর অপারগতা। তবে এই ম্যাচে সেটা বলার সুযোগ অন্তত নেই।

সম্ভাব্য সেরা একাদশ নিয়েই দল সাজিয়েছিলেন কাবরেরা। যার পারদর্শিতা যেখানেই তাঁকে সেখানেই নামিয়েছেন। ফলস্বরূপ সেরা একাদশের সক্ষমতা অনুযায়ী ফলাফলটাও এসেছে বাংলাদেশের পক্ষেই। তাই তো আরও একবার প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এ যাত্রায় চাকরিটা বেঁচে গেল কাবরেরার!

হামজা চৌধুরীর আগমনের আগে যেমন তেমন কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। তবে হামজা-সামিতদের আগমন একটা প্রশ্নচিহ্ন দাঁড় করায়, তাদের মতো কোয়ালিটি প্লেয়ারদের সামলাতে পারবেন তো তিনি?

এরপর সবকিছুই বদলে গেল। শূন্য গ্যালারিতে দর্শক ফিরল, ফুটবল নতুন উদ্যমে চলা শুরু করলো। স্বপ্নকে বাস্তব বানিয়ে হামজা চৌধুরীও মাঠে নামলেন। তবে বদলানো না কেবল বাংলাদেশের ভাগ্য। জেতা ম্যাচগুলো ড্র হলো, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে হতাশা ছাড়া কিছুই থাকল না। আর যার জন্য দায়ি কাবরেরার শিশুসুলভ ভুলচুক।

অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খেলোয়াড়দের ঠিকঠাক জায়গায় না খেলানো, সব মিলিয়ে এক গুবলেট পাকালেন তিনি। আর তাতেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সরব হলো সবাই। বাফুফেও নড়ে চড়ে বসে, এবার যে তাঁকে না সরালেই নয়। এমনকি গুঞ্জন ওঠে ভারত ম্যাচের পরই শেষ হবে এই স্প্যানিশ কোচের অধ্যায়।

তবে ভারতের বিপক্ষে ২২ বছরের জয়খরা কাটাল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে চোখে আঙুল দিয়ে কাবরেরার ভুল ধরানো কষ্টসাধ্যই বটে। তবে এক ম্যাচ দেখে কি মত পাল্টানোটা উচিত হবে? ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কাবরেরার ম্যানেজারিত্ব কতটা সাফল্যমণ্ডিত করবে বাংলাদেশকে, সেটাও জন্ম দেয় সংশয়ের। তবে কাবরেরাকে হটানোর জোয়ারটা কিছুটা শান্ত হলো এই ম্যাচের ফলাফলে। চাকরিটা কি তবে বাঁচিয়ে নিলেন তিনি?

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link