প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা রানের পাহাড় গড়ার পর বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু ভালো শুরু পেয়েও শেষ ৩৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৫১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো কোন অযুহাত না দিলেও জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্ত থাকায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টে ১৭৯ ওভার ফিল্ডিং করার পর দ্বিতীয় টেস্টে এখন পর্যন্ত ১৫৯ ওভার ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ডোমিঙ্গো মনে করেন গত চার পাঁচ দিন লম্বা সময় ধরে ফিল্ডিং করার প্রভাব পড়েছে ব্যাটসম্যানদের উপর। এই গরমে লম্বা সময় ফিল্ডিং করার পর আর মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা।
ডোমিঙ্গো মনে করেন এরপরেও অনেক চেষ্টা ও পরিশ্রম করেছেন ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ জানিয়েছেন ম্যাচ বাঁচাতে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে হবে সবাইকে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং ধসটা বেশ কিছু কারণে হয়েছে। ছেলেরা গত চার পাঁচ দিনে অনেক সময় মাঠে কাটিয়েছে। সবাই মানসিকভাবে একটু ক্লান্ত ছিল। আমার মনে হয় আমরা শেষ চার পাঁচ দিনে প্রায় ৩৭০ ওভার ফিল্ডিং করেছি। যা অবশ্যই একজন ক্রিকেটারকে ক্লান্ত করে ফেলে, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে। দ্বিতীয় ইনিংস এখনো বাকি রয়েছে। আমাদের নিজেদের মানসিক ভাবে প্রস্তুত করতে হবে।’
ডোমিঙ্গো আরো বলেন, ‘কোনো অজুহাত নেই। ছেলেরা তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে, অনেক পরিশ্রম ও চেষ্টা করছে। অজুহাত নয়। কিন্তু মাঠে অনেক সময় অতিবাহিত করার কারণে ব্যাটিং করার সময় মনোযোগে একটু ঘাটতি হয়েছিল। মনে রাখতে হবে ছেলেরা প্রায় ৩৮০ ওভার ফিল্ডিং করেছে। যেটা আমাদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রভাব ফেলেছে। এটিই হয়তো আজকে আমাদের ব্যাটিং ধসের আংশিক কারণ।’
তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাট করতে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে হাতে রেখে ২৫৯ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের কোচ জানিয়েছেন আগামীকাল দ্রুত শ্রীলঙ্কার উইকেট তুলে নিয়ে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘আজকে আমাদের কঠিন একটা দিন ছিল। তার পরেও আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে কারণ এখনো অনেক খেলা বাকি রয়েছে। কালকে আমরা দ্রুত কিছু উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি জানেন ক্রিকেটে যে কোন কিছুই হয়। আমাদের চতুর্থ দিনে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে।’