‘সেঞ্চুরি পাওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার’
বিরাট কোহলি অফ ফর্মে নেই। কিন্তু, ঠিক তাঁর মান অনুযায়ী ফর্মেও নেই। সেই ২০১৯ সালে তিনি সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। টানা ভাল খেললেও তিনি সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছেন। সেটা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে কম হৈচৈ হচ্ছে না।
বিরাট কোহলি অফ ফর্মে নেই। কিন্তু, ঠিক তাঁর মান অনুযায়ী ফর্মেও নেই। সেই ২০১৯ সালে তিনি সর্বশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। টানা ভাল খেললেও তিনি সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছেন। সেটা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে কম হৈচৈ হচ্ছে না।
যদিও, পাকিস্তানের ব্যাটিং গ্রেট মোহাম্মদ ইউসুফ বিশ্বাস করেন ভারতীয় এই অধিনায়ক তাঁর সেরা সময়েই আছেন। তাঁর, দ্রুতই আবারো সব ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির দেখা পাবেন তিনি।
ইউসুফ বলেন, ‘কোহলির বয়স মাত্র ৩২ বছর। এই বয়সে টপ ব্যাটসম্যানরা নিজের সেরা ফর্মে থাকে, বিরাটও আছে। আর সেঞ্চুরি পাওয়া ওর জন্য স্রেফ সময়ের ব্যাপার। এখন পর্যন্ত ওর যা অর্জন তাই দুর্দান্ত। ৯০ টেস্ট ও ২৮৮ ওয়ানডেতে ৭০ টি সেঞ্চুরি করা বিরাট ব্যাপার!’
এক নির্দিষ্ট বর্ষপঞ্জিতে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড করেন এই ইউসুফের। ২০০৫-০৬ মৌসুমে তিনি ১৭৮৮ রান করে এই রেকর্ড গড়েন। খেলোয়াড়ী জীবনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। সেই শচীনের সাথে আজকাল বিরাট কোহলির বিস্তর তুলনা হয় গণমাধ্যমে।
ইউসুফ অবশ্য বিরাট কোহলি সাথে শচীনের তুলনা করাটা মোটেও পছন্দ করেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘কোহলি যা করেছে তার প্রশংসা যতই করিনা কেনো সেটা কম। কিন্তু একই সাথে আমি মনে করিনা তার সাথে শচীনের তুলনা করা উচিত। টেন্ডুলকার অন্য মানের একজন ক্রিকেটার। ও ১০০ টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছে এবং সে যেই সময়ে খেলেছে, যে ধরনের বোলারের মুখোমুখি হয়েছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’
ইউসুফ মনে করেন পাকিস্তানের তুলনায় ভারত টেকনিক্যালি বেশ ভালো ব্যাটসম্যান তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘তাঁদের (ভারত) তরুণ ব্যাটসম্যানরা যুগ যুগ ধরেই কাউকে না কাউকে অনুসরণ করে আসছে। যার জন্য ভারত আজও তারা ভালো ব্যাটসম্যান তৈরি করতে পারছে। আমি ভাগ্যবান ছিলাম যখন আমি খেলা শুরু করেছি আমার সাথে ইনজামাম উল হক ও সাঈদ আনোয়ার ছিল। জাভেদ মিঁয়াদাদের মতো কোচ ছিলেন।’
ইউসুফ মনে করেন পাকিস্তানকে এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের যারা বড় পদে আছেন, তাদেরকে একসাথে বসে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবা উচিত। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছাড়াও তরুণ খেলোয়াড়দের অন্য ফরম্যাটের উপযোগী করে তৈরির জন্য চিন্তা করতে হবে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হাই পারফরম্যান্স দলের কোচ মোহাম্মদ ইউসুফ সতর্কবার্তা জানিয়ে বলেন, ‘অন্যথায় আমরা ভবিষ্যতে ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা পড়বো।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি মজার ক্রিকেট। এটা আমাদের ক্রিকেটারদের আর্থিক ভাবেও উন্নতি আনছে। আমি মনে করি আপনি এই ফরম্যাটেও ব্যাসিক ঠিক রাখতে পারলে ঝুঁকিমুক্ত ক্রিকেট খেলা যায়।’
৯০ টেস্ট এবং ২৮৭ ওয়ানডে মোহাম্মদ ইউসুফ যথাক্রমে ৭৫৩০ ও ৯৭১৭ রান করেছেন। টেস্টে ২৪ টি সেঞ্চুরির সাথে করেছে ৩৩ টি ফিফটি এবং ওয়ানডেতে ১৫টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ৬৪ টি হাফ সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাসিক মেনে খেলার ব্যাপারে তিনি উদাহরণ হিসেবে বিরাট কোহলি, বাবর আজম, রোহিত শর্মা, কেন উইলিয়ামস ও স্টিভেন স্মিথের প্রসঙ্গ আনেন।