নব্বই রানে তখন তিনি অপরাজিত। বোলিং হচ্ছে নতুন বলে। বল হাতে টিম সাউদি। এমন সময় সামনে এগিয়ে গিয়ে স্লগ স্যুইপ করলেন। মিড উইকেটের ওপর দিয়ে হাঁকালেন ১০৭ মিটারের বিশাল এক ছক্কা।
নার্ভাস নাইন্টিজে গিয়ে এই শট কেই বা হাঁকাতে পারেন? কিংবা বলা ভাল, কেই বা হাঁকানোর সাহস রাখেন? এই প্রশ্ন নিয়ে ধারাভাষ্যকক্ষে অনেক চর্চা হল। সেই আলোচনার ফলাফল একটাই। এই কাজটা ঋষাভ পান্ত ছাড়া আর কেউই করার সাহস কিংবা সক্ষমতা রাখেন না।
এই কাজ করতে গিয়ে তিনি অসংখ্যবার আউটও হয়েছেন। এবার যেমন ফিরলেন ৯৯ রানে বোল্ড হয়ে। কিন্তু, ঋষাভের কাছে তো মেজাজটাই তো আসল রাজা। তিনি খেলেন নিজের মেজাজ মত। সেখানে তাঁর চাওয়া আর দলের দলের চাওয়াটাই সবার আগে প্রাধান্য পায়। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতেও পান্ত হাঁটলেন ‘দ্য পান্ত ওয়ে’তেই। যে পথের তিনিই একমাত্র পথিক।
ঋষাভ পান্তের জন্য এ আর নতুন কি? তিনি কোনো ফরম্যাট সম্ভবত বোঝেন না। সব ফরম্যাটেই খেলেন প্রায় একই ভাবে। ব্যাঙ্গালুরুতে যে টেস্টটা ভারত হেরেই যেতে বসেছিল, সেটা এখন এই পান্তের কল্যাণে জিতেও যেতে পারে।
যে লড়াইটা বিরাট কোহলি আর সরফরাজ খান চালু করে গিয়েছিলেন সেটাই এগিয়ে নিয়ে গেলেন পান্ত। ভারতকে খাঁদের কিনারা থেকে তুলে নিয়ে দেখালেন জয়ের স্বপ্ন। সেঞ্চুরির দুয়ারে দাঁড়িয়ে তিনি। ব্যাঙ্গালুরুর গ্যালারিতে হাজারো ক্যামেরার লেন্স পান্তের ম্যাজিকাল ফিগারের অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষা শেষ হল নার্ভাস নাইন্টি নাইনে। ধারাভাষ্যে কে যেন বলে উঠলেন – ডোন্ট ট্রাই দিস অ্যাট হোম! ঠিক তাই, এই ধরণ, এই পথ একান্তই পান্তের! সেই পথে বিশ্বাস করতে নেই!