ডরিভাল জুনিয়র দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ব্রাজিল মাঠে নেমেছে ১৪ ম্যাচে, এর মধ্যে মাত্র একবার হেরেছে তাঁরা। এতটুকু শুনলে আপনার মনে হতেই পারে ব্রাজিল বুঝি দারুণ ছন্দে আছে কিংবা ব্রাজিল বুঝি জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারে না। কিন্তু জানাশোনার পরিধি আর একটু বাড়লেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে, এই ১৪ ম্যাচের মধ্যে সাত ম্যাচেই ব্রাজিল মাঠ ছেড়েছে ড্র নিয়ে।
ব্রাজিল ছন্দ হারিয়েছে বহু আগেই; ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে হার অতঃপর বিশ্বকাপে আরো একবার কোয়ার্টার ফাইনালের গন্ডিতে আটক। সেই থেকে কেবল অধঃপতনের দিকেই এগিয়েছে তাঁরা। বহু কোচ ঘুরে চলতি বছরের মার্চে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডরিভাল, কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি একটুও।
সংবাদ সম্মেলনে বড় বড় কথা বললেও মাঠের খেলায় এই কোচ আসলে ইম্প্যাক্ট রাখতে পারেননি। তারকা বহুল স্কোয়াডে বরাবরই ভারসাম্যের অভাব ছিল, কাঙ্খিত ভারসাম্য ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর কথাই ভাবা যাক; নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনার ছাপ ছিল না কখনোই। গোলের প্রয়োজন পড়লে একের পর এক ফরোয়ার্ড নামানোর মুখস্থ বিদ্যায় আটকে ছিলেন তিনি – অথচ মাঝমাঠ নিয়ে সেলেসাওদের যে দীর্ঘ দিনের অস্বস্তি সেটা নিয়ে তাঁর কোন মাথাব্যাথাই নেই।
ফলে যা হওয়ার তাই হয়, ফরোয়ার্ড লাইন অনেকটাই আলগা হয়ে পড়ে ম্যাচের মূল স্রোত থেকে। ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল নিয়ে আসতে হয় উইঙ্গারকেই, স্বাভাবিকভাবেই এতে বাড়তি চাপ পড়ে তাঁদে উপরে। হয়তো এই কারণেই ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহা ক্লাব ফুটবলে যতটা উজ্জ্বল জাতীয় দলে ততটাই ম্লান।
সবমিলিয়ে ডরিভালকে আপনি চাইলেই ড্ররিভাল জুনিয়রও ডাকতে পারেন। কেননা ম্যাচ ড্র করাটাই বোধহয় তাঁর নেশা হয়ে উঠেছে। কিন্তু তিনি ড্র করে সন্তুষ্ট হলেও সমর্থকেরা পারছে না সন্তুষ্ট হতে, এভাবে চললে দ্রুতই বিকল্প ভাবা উচিত সিবিএফের।