লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ইতোমধ্যেই ইউরোপ ছেড়েছেন। মেসি মেজর সকার লিগ এবং রোনালদো সৌদি প্রো লিগে খেলছেন। তারা দুজন একসময় পুরো ইউরোপে দাপট দেখিয়ে বেড়াতেন। যদিও তারা এখনো মাঠ ছাড়েননি তবে ইউরোপে তাদের সেই দাপটের রেষ এখন দেখতে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেইমার জুনিয়রকে মনে করা হতো মেসি, রোনালদোর পড়ে সব থেকে বড় নাম। কিন্তু, তিনি মাত্র ৩১ বছর বয়সে ইউরোপ ছেড়ে সৌদি পাড়ি দিয়েছেন। ইনজুরি তার ক্যারিয়ারে সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মনে করা হতো তিনি হয়তো মেসি, রোনালদোর পর ইউরোপে রাজত্ব করবেন। উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও তার সম্ভাবনা অপূর্ণ রয়ে গেছে। তাঁর নিজেরও খামখেয়ালিপনা আছে।
মেসি, রোনালদো চলে যাওয়ার পর ফুটবল ভক্তরা সেই একক রাজত্বের অভাব বোধ করছেন। তাদের অতুলনীয় পারফরম্যান্স একটি মানদণ্ড তৈরি করেছে। আর সেই মানদণ্ডই এখন বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব দেয়।
কিলিয়ান এমবাপ্পে অসাধারণ সম্ভাবনা নিয়ে ফুটবল জগতে প্রবেশ করেন। কিন্তু সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদে যোগদানের পর তার পারফরম্যান্স আশানুরূপ হচ্ছে না। আর্লিং হাল্যান্ড ম্যানচেস্টার সিটিতে দুর্দান্ত খেলছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে তিনি ধুকছেন।
এর বাদেও কিছু নাম আছে। মোহাম্মদ সালাহ, ডি ব্রুয়না, ভ্যান ডাইক, হ্যারি কেইন এবং আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের মতো খেলোয়াড়রা ধারাবাহিক ভাবে দূর্দান্ত খেলছেন। কিন্তু, তাদেরও হাতে বেশি সময় বাকি নেই। তারা সকলেই ৩০-এর কোঠা পার করেছেন।
মেসি, রোনালদোর এই শূন্যতা ফুটবল ভক্তদের মাঝে এক বিরহের অনুভূতি সৃষ্টি করছে। ভবিষ্যত তারকাদেরকে অনেক সম্ভাবনাময়ী মনে হচ্ছে। ফুটবল ইতিহাসে মেসি, রোনালদোর কৃতকর্মের ছাপ আজীবন থেকে যাবে।
তাদের এই অবদান রূপান্তর করা প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। ফুটবলের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা – এমবাপ্পে, হাল্যান্ডের মতো তারকারা কি পারবে সেই স্থান পূরণ করতে। নাকি মেসি, রোনালদোর শূন্যতা আজীবন কাদিয়ে যাবে ভক্তদের মন? এই অনিশ্চয়তার ফাঁকেও ভয়ানক এক রোমাঞ্চ আছে।