কোনো হিসাবই বাকি রাখবে না ভারত

২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ডকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ভারত। অথচ দুই ইংলিশ ওপেনার রীতিমতো ছেলেখেলা করেছিলেন সেদিন, ভারতীয় বোলারদের ওপর তান্ডব বইয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। নূন্যতম কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দশ উইকেটে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া।

দুই বছর পর আবারো একই মঞ্চে মুখোমুখি হলো দুই দল, এবার আর ভুল করেনি রোহিত শর্মার দল। এদিন ইংলিশদের দাঁড়ানোর সুযোগই দেয়নি, শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করার পর শেষপর্যন্ত ৬৮ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে তাঁরা।

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে শিরোপার দৌড়ে এগিয়েই ছিল ভারত। ইনফর্ম বিরাট কোহলির পাশাপাশি সুরিয়াকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বিশ্বজয়ের। কিন্তু অ্যাডিলেডের একটা ম্যাচ বদলে দিয়েছে অনেক কিছু, ফেভারিট হওয়া সত্ত্বেও ইংল্যান্ড বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল তাঁদের। জশ বাটলার আর অ্যালেক্স হেলসের বিপক্ষে কোন জবাবই দিতে পারেনি দলটির বোলাররা, দু’জনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ১৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়।

অবশ্য ভারতীয় টপ অর্ডারের ভুলও কম নয়, ফ্ল্যাট উইকেটে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার কাজটা করতে পারেননি তাঁরা। লোকেশ রাহুল তো দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়েছিলেন, রোহিত রান পেলেও টি-টোয়েন্টি সুলভ স্ট্রাইক রেট ছিল না। এছাড়া কোহলি হাফসেঞ্চুরি করতেই খেলেছেন ৪০ বল – সবমিলিয়ে প্রথমভাগেই খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছিল দলটি।

কিন্তু এবার এসব ভুল দারুণভাবে শুধরে জয়ের স্বাদ নিয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপজয়ীরা। অধিনায়ক নিজে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলেছেন, এরপর সুরিয়া, হার্দিক সবাই হাত খুলেই ব্যাট করেছেন। এর ফলেই প্রত্যাশার চেয়ে ভাল সংগ্রহ পেয়েছে তাঁরা। আর বোলিংয়ে এদিন অক্ষর প্যাটেলকে ধ্বস নামিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে, আগেরবার যেটা করতে পারেননি সেটাই করেছেন তিনি।

সবমিলিয়ে প্রতিশোধের সুযোগ ভালভাবেই কাজে লাগিয়েছে ভারত। বছর দুয়েক আগে যেই মঞ্চ থেকে নিজেরা মাথা নিচু করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, এবার সেখান থেকে শিরোপার আরো কাছে পৌঁছে গেলেন। এখন অপেক্ষা কেবল এক ম্যাচের, এরপরই হয়তো অতৃপ্ত বাসনা পূর্ণ হবে ভারতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link