গোল আর অ্যাসিস্ট ছাড়া এনজো ফার্নান্দেজ যেন চলতেই পারছেন না; একের পর এক ম্যাচ খেলছেন আর ভারী করছেব নিজের অর্জনের ঝুলি। চেলসির হয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করেছেন বা করিয়েছেন তিনি। এফসি নোয়াহ এর বিপক্ষে অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক দিয়ে শুরু, সবশেষ সাউদাম্পটনের বিপক্ষেও স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছেন।
দুঃস্বপ্নের মত কিছু সময় কাটিয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার, মাঠ এবং মাঠের বাইরের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। তবে এক ঝটকায় সব বদলে গেলো, ক্লাবের জার্সি গায়ে জড়িয়ে গত পাঁচ ম্যাচে দুই গোল আর ছয়টা অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে চেলসির হয়ে চলতি মৌসুমে সাতটা অ্যাসিস্ট আছে তাঁর, যা কি না দলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
শুধু গোল বা অ্যাসিস্ট নয়, এনজো অবদান রেখেছেন পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে। সর্বোচ্চ ৭৪টা পাস খেলেছেন তিনি, তিনটা গোল স্কোরিং চান্স তৈরি করেছেন, রিকোভারি ছিল ছয়টা। এককথায় বলতে গেলে, ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর এক জোড়া পায়ে।
সাউদাম্পটনের ওপর যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ব্লুজরা, সেটাও শুরু হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার পা থেকে। ম্যাচের মাত্র সাত মিনিটের সময় কর্নার থেকে নিঁখুত একটা ক্রস ডি বক্সে পাঠান তিনি। একেবারে কাছ থেকে অ্যালেক্স দিসাসি গোল আদায় করে নিয়েছিলেন – তখনি মোমেন্টাম পেয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা, পুরো ম্যাচ জুড়ে সেটার ফায়দা লুটেছে তাঁরা।
একটা করে গোল এবং অ্যাসিস্ট করেছেন ক্রিস্টোফার এনকুনকু এবং ননি মাদুয়েকে। এছাড়া গোল পেয়েছেন প্রিন্স অব চেলসি কোলে পালমার, একাই ছয়টা শট নেয়ার পর শেষমেশ জালের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। বদলি হিসেবে নামা জোডান সানচোও এদিন নাম তুলেছেন স্কোরবোর্ডে। সবমিলিয়ে দারুণ একটা ম্যাচ পার করেছে এনজো মারেসকার শিষ্যরা।
এর ফলে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এলো দলটি, আর্সেনালের সমান ২৮ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে তাঁরা। অন্যদিকে শীর্ষস্থানে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধানটা সাত পয়েন্টের, অর্থাৎ হুট করে শিরোপার দৌড়ে তাঁরা লিভারপুলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বনে গেলে অবাক হওয়ার কারণ থাকবে না।