আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন আরো আগেই। আট মাস পর সব ধরণের ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের বিদায়ের ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী মরগ্যান।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর ইংল্যান্ডকে আমূল বদলে দেবার অন্যতম রূপকার মরগান। চার বছর আগে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া ইংল্যান্ডকে চার বছর পর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতান মরগান।
ফর্মহীনতায় গত বছরের জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন তিনি। তবে ঘরোয়া ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে নেবার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বছর না পেরোতে সেই সিদ্ধান্তে বদল এনে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন এই আইরিশম্যান।
টুইটারে মরগ্যান লেখেন, ‘অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। অনেক চিন্তা-ভাবনার পর, আমার মনে হয়েছে ক্রিকেট থেকে সরে আসার এটাই সঠিক সময়, এই ক্রিকেট আমাকে বছরের পর বছর ধরে অনেক কিছু দিয়েছে। মিডলসেক্সে যোগ দেওয়ার জন্য ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডে চলে যাওয়া থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত এসএ২০ তে পার্ল রয়্যালসের হয়ে খেলা, আমি প্রতিটি মুহূর্ত হৃদয়ে লালন করেছি।’
দক্ষিন আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে পার্ল রয়েলসের হয়ে খেলেছিলেন মরগান। দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট তাই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেললেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা মরগ্যান শুরু করেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। ২০০৬ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় মরগানের। এরপর ২০০৯ সালে চলে আসেন ইংল্যান্ডে। থ্রি লায়ন্সদের জার্সিতে খেলেছেন ১৬ টেস্ট, ২৪৮ ওয়ানডে ও ১১৫ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে ইংলিশরা তাকে মনে রাখবে চির অধরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য।
বিদায়ী বার্তায় মরগান আরো লিখেছেন, ‘যে কোনো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে উত্থান পতন আছেই, কিন্তু আমার পরিবার এবং বন্ধুরা সবসময় আমার পাশে থেকেছে। আমি আমার স্ত্রী তারা, আমার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের যারা আমাকে নি:শর্তভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি অবশ্যই আমার সব সতীর্থ, কোচ, ভক্ত এবং পর্দার আড়ালে যারা আমাকে শুধু খেলোয়াড়ই নয়, আজকের এই মানুষকে গড়ে তুলেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাতে হবে।’
‘ক্রিকেটকে ধন্যবাদ, আমি বিশ্ব ভ্রমণ করতে পেরেছি এবং দারুণ লোকদের সঙ্গে দেখা হয়েছে যাদের অনেকের সাথে আমি আজীবন বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলা আমাকে এমন কিছু স্মৃতি দিয়েছে যা সারাজীবন মনে থাকবে।’, যোগ করেন তিনি।