হাল্যান্ডের গোলমেশিনে জং ধরেছে

প্রচণ্ড রকম দক্ষতার সাথে গোল করতে পারেন, ক্রমাগত। আর্লিং হল্যান্ডের সেটাই ছিল ইউনিক সেলিং পয়েন্ট। এজন্যই, এত অর্থ কড়ি খরচ করে তাঁকে দলে নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে, আপাতত সেই বিনিয়োগটা কাজে লাগছে না সিটির।

প্রচণ্ড রকম দক্ষতার সাথে গোল করতে পারেন, ক্রমাগত। আর্লিং হল্যান্ডের সেটাই ছিল ইউনিক সেলিং পয়েন্ট। এজন্যই, এত অর্থকড়ি খরচ করে তাঁকে দলে নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে, আপাতত সেই বিনিয়োগটা কাজে লাগছে না সিটির।

ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণভাগের সাম্প্রতিক ফর্ম কোনভাবেই মন ভরাতে পারছে না সমর্থকদের। আক্রমণভাগের অন্যতম কান্ডারি আর্লিং হাল্যান্ডও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। যদিও মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন এই নরওয়েজিয়ান তরুণ। কিন্তু খোদ সিটি বস পেপ গার্দিওলা তার প্রিয় শিষ্যর পক্ষে কথা বলতে ভুল করেননি। সিটির আক্রমভাগের ব্যর্থতায় কোন মতেই হালান্ডকে এককভাবে দায়ী করতে চান না গার্দিলওলা। তার মতে, এতে পুরো দলেরই দায়ভার রয়েছে।

এবারের মৌসুমে সিটির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩২ গোল করেছেন হাল্যান্ড। কিন্তু শুরুর এই দাপুটে পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারেননি হালান্ড। ২২ বছর বয়সী এ তারকা গত সপ্তাহে নটিংহ্যাম ফরেস্ট ও লিপজিগের বিরুদ্ধে হতাশাজনক ড্র হওয়া দুই ম্যাচের একটিতেও গোল করতে পারেন নি। যদিও প্রতি ম্যাচে হালান্ডের বল কম স্পর্শ করার পরিসংখ্যানই তার সার্বিক পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলেছে, সমালোচকদের এমন কথাকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন গার্দিওলা।

এ সম্পর্কে গার্দিওলা বলেন, ‘এটা হালান্ডের দোষ নয়, এটা আমাদের দোষ। পুরো মৌসুমেই হালান্ড আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমি কোন ধরনের পরিসংখ্যান জানতে চাই না। যখনই ম্যাচ শেষ করি তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমাকে শুনতে হয় হালান্ড আজ কতটা তৎপর ছিল, তার চেয়ে কে বেশী ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে।’

ম্যানচেস্টার সিটি বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের তুলনায় দুই পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সিটিতে হালান্ডের উন্নতিতে পুরো দলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলে গার্দিওলা স্বীকার করেছেন।

সিটির এই কোচ বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পজিশনে খেলে স্ট্রাইকাররা। কারণ, তাদের দিকে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বেশি চোখ থাকে। আর হাল্যান্ডের মত খেলোয়াড় হলে তো কথাই নেই। তাকে যেভাবে নজরে রাখা হয় তাতে স্বাভাবিক খেলা অনেক সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে। আমি ক্যারিয়ারে সার্জিও অ্যাগুয়েরো ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মত স্ট্রাইকারদের দেখেছি। তাদেরকে কখনই স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেয়া হয়নি। এটাই স্বাভাবিক। তারা কতবার বল স্পর্শ করেছে সেটা সবাই দেখেছে। এখানে বল স্পর্শ করাই সব কিছু নয়। আমাদের প্রক্রিয়াটা আরো বেশী। সবই ঠিক আছে, আমিও পুরো দলের পারফরমেন্সে হতাশ। মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এটাই ফুটবল।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...