হেরে যাওয়ার পরও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তরুণ খেলোয়াড়দের চোখ-মুখ এত চনমনে কেন? কারণ, কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার দাঁড়িয়ে আছেন তাঁদের স্বপ্নপুরুষের পাশে। ম্যাচ হার তো আসতেই পারে। কিন্তু, খোদ বিরাট কোহলির সাথে কি আর রোজ রোজ ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া যায়!
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের আলো-আঁধারি বাতাসে সোমবার রাতটা যেন কিছুটা অন্যরকম ছিল। টান টান উত্তেজনা শেষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স যখন মাত্র ১২ রানে হেরে মাঠ ছাড়ছে, তখন কিছু তরুণ মুখে ফুটে উঠল এক অনন্য উচ্ছ্বাস — কারণ, তারা ভাগ্যবান। কারণ, তাঁরা ছবি তুলতে পেরেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের রাজা বিরাট কোহলির সাথে।
তার বিরাট কোহলির সঙ্গে একই মাঠে খেলেছেন। লড়াই করেছেন। তারপরও কোহলি তাঁদের জন্য দূর আকাশের তাঁরা। ম্যাচ শেষে তারা দাঁড়িয়ে গেল এক লাইনে, শুধু একটা ছবির আশায়। কোহলি কাউকেই আশাহত করেননি। অশ্বিনী কুমার বা রাজ আঙ্গাদ বাওয়া – সবার সাথেই ছবি তুলেছেন।
ম্যাচে ২২১ রানের বিশাল পাহাড় গড়ে ফেলে আরসিবি। হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই লড়ল, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হার মানল তারা, কিন্তু, এক অন্যরকম জয় পেল তাদেরই কিছু তরুণ সেনানী।
ম্যাচ শেষে দেখা গেল, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কিছু উঠতি ক্রিকেটার ধীরে ধীরে এগিয়ে এলেন বিরাট কোহলির দিকে। চোখেমুখে মুগ্ধতা, হৃদয়ে সম্মান। একে একে দাঁড়ালেন লাইনে, যেন একটুখানি ছোঁয়া পেলে জীবন ধন্য হয়। কোহলি সবার সাথে হাসিমুখে ছবি তুললেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ঝড় তুলেছে। কেউ লিখেছে, ‘এটাই হল বিরাট কোহলির আসল পরিচয়।’ কেউ কেউ বলছেন, ‘ম্যাচের চেয়ে এই হৃদতাটাই তো ক্রিকেট।’
এই হৃদতাটাই তো বিরাট কোজলি।তাঁর ব্যাটিং, তাঁর শরীরী ভাষা, তাঁর একাগ্রতা —সব মিলিয়ে তিনি যেন এই সময়ের সবচেয়ে বড় নায়ক। তাঁর এই চুম্বকীয় আকর্ষণ প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে যাচ্ছে সহ-খেলোয়াড়দেরও, ছুটে যাচ্ছে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে।