১৬ টি মৌসুমের প্রায় প্রত্যেকটিতেই চ্যাম্পিয়ন হবার মতই দল গড়েছিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু শিরোপার স্বাদ একটাবারের জন্যও পাওয়া হয়নি তাদের। তাই ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয় বিরাট কোহলিরও ছোঁয়া হয়নি আইপিএলের ট্রফিটা। এবার তো প্লে অফের আগেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে কোহলি-ডু প্লেসিসদের।
আইপিএল ব্যর্থতার কাটাছেড়া করতে বসতে হচ্ছে ব্যাঙ্গালুরুকে। শক্তিশালী দল গড়েও মৌসুমের পর মৌসুম খালি হাতে ফেরার কারণ তাই খুঁজছেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসও। ম্যাচ শেষে অবশ্য ডু প্লেসি জানিয়েছিলেন, এই খেলায় প্লে অফ ডিজার্ভও করেন না তারা।
ব্যর্থতার কারণ হিসেবে ডু প্লেসিস সামনে আনলেন মিডল অর্ডারের ব্যর্থতাকে। টপ অর্ডারে বিরাট কোহলি, ডু প্লেসিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দারুণ সব ইনিংস খেললেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ভালো ফিনিশিং পাওয়া হয়নি ব্যাঙ্গালুরুর।
চরম ব্যর্থ ছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার দীনেশ কার্তিকও। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে বাঁচা মরার শেষ ম্যাচের ডাক সহ এই আসরে চারটি ডাক স্কোর করেছেন কার্তিক। সবমিলিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারে ১৭ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি৷ যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মিডল অর্ডারে কার্তিকের এই বাজে ফর্মকেও চলতি আসরে ব্যাঙ্গালুরুর ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দেখছেন ডু প্লেসিস। ডু প্লেসিস মনে করেন, এই আসরে যে দল গুলো সফল হচ্ছে তাদের মিডল অর্ডারে দারুণ সব পারফর্মাররা ছিলো।
ডু প্লেসিস বলেন, ‘গত বছর দীনেশ কার্তিক দারুণ ফর্মে ছিলো এবং ম্যাচ ফিনিশ করে আসছিলো যেভাবেই হোক। কিন্তু এই মৌসুমে এটা হচ্ছে না। সেই সাথে আপনি যদি দেখেন যে দল গুলো সফলতা পাচ্ছে তাদের পাঁচ বা ছয় বা সাত নম্বরে ভালো মানের হিটাররা আছে।’
চলতি আসরে পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়ে ডাক স্কোর করার লিস্টে সবার ওপরে আছেন রাজস্থানের জস বাটলার। এরপরই আছেন দীনেশ কার্তিক।
প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যাঙ্গালুরুর ওপেনার ও টপ অর্ডার দারুণ সূচনা এনে দিলেও মিডল অর্ডারে কার্তিকদের ব্যর্থতায় ভেস্তে গেছে সেই সূচনা। আইপিএলের ইতিহাসের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে এক মৌসুমে চারবার শূন্য রানে আউট হবার রেকর্ডও গড়েন কার্তিক।