ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ তখন শেষ। দর্শকরা তখনও মাঠ ছেড়ে যাননি। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সাথে নিয়ে ফাহমিদুল আসলেন গ্যালারির দিকে। একজন নারী জড়িয়ে ধরলেন তাঁকে। তিনি ফাহমিদুলের মা। মা ও ছেলের পরম মমতার বন্ধন দেখল বাংলাদেশের ফুটবল।
ভুটানের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় ফাহমিদুলের। বাংলাদেশ জিতে ২-০ ব্যবধানে। ইতালির সিরি ‘ডি’ থেকে তাঁর ঠাই হল লাল-সবুজের জার্সিতে। অভিষেকটাই রাঙিয়ে দিয়েছেন এই উইঙ্গার। যতক্ষণ খেলেছেন, তাঁর ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল মাঠে। বরং তিনি মাঠের বাইরে যাওয়া মাত্রই তাঁর অভাব বোধ করতে শুরু করে বাংলাদেশ দল।
বল কনট্রোলিং, পাসিং, শটের রেঞ্জে মুগ্ধ করেছেন ফাহমিদুল। গোল না পাওয়াটা স্রেফ একটা দুর্ভাগ্য। ফাহমিদুল ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই তাঁর পরিবার ইতালিতে চলে যায়। তিনি ইতালিতে বেড়ে উঠলেও বাংলাদেশি সংস্কৃতির সাথে যুক্ত রয়েছেন।
ফাহমিদুলের মা পুরোটা সময় মাঠে থাকেন। খেলা দেখেন, ফাহমিদুলদের উৎসাহ যোগান। মায়ের উপস্থিতিতেই জ্বলে উঠেন ফাহমিদুল। বুঝিয়ে দেন, তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য রাস্তায় নেমে ভুল করেনি বাংলাদেশের সমর্থকরা। এমন সব মায়েরা আছেন বলেই ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশ ফুটবল।