পাকিস্তানের পরিকল্পনায় আর নেই ফখর!

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজেও দলে রাখা হয়নি তাঁকে। এর ফলে শুরু হয়েছে নানান গুঞ্জন, নির্বাচকদের পক্ষপাতী মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

পাকিস্তান ক্রিকেটে উত্থান আর পতন থামছেই না, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর একটুখানি স্বস্তি খুঁজে নিতে চেয়েছিল তাঁরা। কিন্তু হুট করে ফখর জামানকে বাদ দেয়া আবারো বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আরেকটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যখন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তখন ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নায়ককেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজেও দলে রাখা হয়নি তাঁকে। এর ফলে শুরু হয়েছে নানান গুঞ্জন, নির্বাচকদের পক্ষপাতী মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেজন্য তিনি অবসর নিয়ে নিতে পারেন এই সম্ভাবনাও জেগে উঠেছিল।

তবে আপাতত অবসর নিয়ে ভাবছেন না এই ব্যাটার। তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, ‘সে (ফখর) অবশ্যই হতাশ, কেবল তাঁর জন্য ফিটনেস টেস্টের ভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করেছিলেন নির্বাচকরা। দুই কিলোমিটার স্প্রিন্ট টেস্টে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি, তাই বলা হচ্ছে দলে জায়গা হয়নি। অথচ আরো কিছু খেলোয়াড় একইভাবে ব্যর্থ হয়ে দলে জায়গা পেয়েছে৷’

ভিতরের খবর বাবর আজম ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণেই ফখরকে ভাবনায় রাখেনি পাকিস্তান। এ ব্যাপারে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানান ফখরের টুইট খেলোয়াড়দের কোড অব কন্ট্রাক্ট ভঙ্গ করেছে। যদিও বাদ পড়ার কারণ হিসেবে ফিটনেস টেস্টের কথা বলেছেন নাকভি। সেই সাথে পুনর্বাসন পুরোপুরি শেষ করে শতভাগ ফিট হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া এই তারকার এজেন্ট নিয়েও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর বড় ভাই গোহার জামান একটি টুইট পোস্টে জানান, ‘বড় ভাই হিসেবে আমি নিশ্চিত করতে পারি যে ফখর জামানের সাথে এখন থেকে সায়া কর্পসের কোন সম্পর্ক নেই।’

যাহোক এই বিবৃতির পরে ফখরের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো আবারো উল্টো তথ্য জানিয়েছে। তাঁরা স্পষ্ট করেছে যে, তিনি তাঁর এজেন্ট পরিবর্তন করেননি। পরবর্তীতে আলোচিত সেই টুইট মুছে ফেলা হয়েছে।

Share via
Copy link