বেশ দুশ্চিন্তায় থাকার কথা বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান বলেই হয়ত মাথায় খানিক চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। যার মূল কারণ বাংলাদেশের টপ অর্ডারে বাঁ-হাতি ব্যাটারের আধিক্য। আর দুশ্চিন্তার উদ্রেক ঘটাচ্ছেন ফজল হক ফারুকি।
বাংলাদেশের টপ অর্ডারে রয়েছে চারজন বাঁ-হাতি ব্যাটার। সৌম্য সরকার বহুদিন বাদে দলে ফিরেছেন। তানজিদ তামিম ও জাকির হাসান রয়েছেন ওপেনিংয়ের দৌড়ে। এছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তিন নম্বরে খেলবেন। এই চারজনের মধ্যে তিনজন যে একাদশে থাকছেন তা নিশ্চিত।
বোলিংটা কাজে লাগানো যাবে বলে সৌম্যের একাদশে জায়গা পাকা। অধিনায়ককে তো আর বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। অতএব ওপেনিংয়ে তামিম অথবা জাকিরের মধ্যে যেকোন একজনকে দেখা যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এদের মধ্যে কেউই ফর্মে নেই। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে তা বলা বাহুল্য।
অন্যদিকে, বাঁ-হাতিদের মিছিলে পাটকেল ছুঁড়ে দিতে প্রস্তুত ফজল হক ফারুকি। বাংলাদেশের বাঁ-হাতি টপ অর্ডারের উইকেট নেওয়াই যেন ফারুকির নেশা। এখন অবধি ৮টি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন ফারুকি। যার মধ্যে ৭টি ম্যাচেই ওপেনারের উইকেট পকেটে পুরেছেন।
তিনি তামিম ইকবালকে আউট করেছেন ৪ বার ও নাইম শেখকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন ২ বার। এছাড়া শান্তর উইকেটও উপড়ে ফেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাঁ-হাতি এই পেসারের। ১৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি বাংলাদেশের। যার মধ্যে ১০টি উইকেটই তিনি নিয়েছেন বাংলাদেশের টপ অর্ডারদের।
নতুন বলে ঠিক কতটা ভয়ংকর তিনি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না নিশ্চয়ই। চকচকে বলটা থেকে তিনি দুই দিকেই মুভমেন্ট আদায় করতে পারেন। তাছাড়া বাংলাদেশি ব্যাটারদের একটা দলগত দুর্বলতা রয়েছে। প্রত্যেকেই ফ্রন্ট ফুট প্ল্যান্ট করে দেন বল খেলার আগেই। তাতে করে ইনসুইং ডেলিভারি খেলতে বেশ বেগ পোহাতে হয়। এমনকি এমন সব বলে আউট হওয়ার প্রবণতাই সবচেয়ে বেশি। সেক্ষেত্রে অবশ্য ডান-বাম কোন বাছ-বিচার নেই।
অতএব আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের কঠিন পরীক্ষাই হতে চলেছে। ফর্মের যে বেহাল দশা, তাতে করে বাংলাদেশ কতটুকু সামলে নিতে পারবে ফারুকিকে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। সেক্ষেত্রে টপ অর্ডারে পরিবর্তন হয়ত নিয়ে আসতে চাইতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটাও ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। টপ অর্ডার যে সামগ্রিকভাবেই ব্যর্থ।