খাল কেটে পরাজয় এনেছে পাকিস্তান

দুই টেস্ট মিলিয়ে স্পিনাররা নিয়েছেন মোট ৬৯ উইকেট — যা এক সিরিজে সর্বোচ্চ। পেছনে পড়ে গেছে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ৬৭ উইকেট। পিসিবির ম্যানেজমেন্ট জানত, এই হারেই স্পিনাররা উইকেট পাবেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাঁরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারদের ভুলেই গিয়েছিলেন।

নিজেদের পাঁতা ফাঁদেই পা দিল পাকিস্তান। মুলতানের বিতর্কিত এক স্পিন সহায়ক উইকেটে হেরে গেল আড়াই দিনেরও কম সময়ে। দেশের মাটিতে জোর করে স্পিন বান্ধব উইকেট বানানোর পরিণতি কি হতে পারে, সেটা হাড়ে হাড়ে টেড় পেয়েছে পাকিস্তান দল। লো স্কোরিং টেস্টেও পাকিস্তান হেরেছে ১২০ রানের বিশাল ব্যবধানে।

মানে, তীরে এসে তরী ডুবেছে পাকিস্তানের – সে কথা বলারও সুযোগ নেই। নায়ক হয়ে উঠরেন জোমেল ওয়ারিকন, দ্বিতীয় টেস্টে একাই নিলেন নয়টি উইকেট। সাথে আড়াই দিনের ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৬ রানের গুরুত্ব নিশ্চয়ই আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার হয় না।

পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেনি কেউ। সামান্য প্রতিরোধ গড়া রিজওয়ান ২৫ ও সালমান আলী আঘা ১৫ রান করতে পেরেছেন। ম্যাচের মত সিরিজেরও সেরা ক্রিকেটার এই ওয়ারিকন। দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৯ উইকেট আর শ’খানেক রান করেছেন তিনি।

তৃতীয় দিন সকালে পাকিস্তানের হাতে ছিল ৬ উইকেট, দরকার ছিল ১৭৮ রান। সেই লক্ষ্যে পাকিস্তান আর মাত্র ৫৮ রান যোগ করতে না করতেই হারিয়ে ফেলে সবগুলো উইকেট। সকালে এক সেশনেরও কম সময়ে শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে ৩৪ বছর কোনও টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ পাকিস্তানে টেস্ট জিতেছিল ১৯৯০ সালে ফয়সালাবাদে। তার পর ১৯৯৭ ও ২০০৬ সালের সফরে ছিল জয়হীন। সেই অচলায়তন ভাঙল ২০২৫ সালে এসে। পাকিস্তানে ২২ টেস্ট খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। যার সর্বশেষটি ১৯৯০ সালের ২৫ নভেম্বর ফয়সালাবাদে।

ফলে, মূলতানের এই টেস্ট কোনোদিনও ভুলবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজটা দুই দলের স্পিনারদের পক্ষেও ভোলা অসম্ভব। দুই টেস্ট মিলিয়ে স্পিনাররা নিয়েছেন মোট ৬৯ উইকেট — যা এক সিরিজে সর্বোচ্চ। পেছনে পড়ে গেছে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ৬৭ উইকেট। পিসিবির ম্যানেজমেন্ট জানত, এই হারেই স্পিনাররা উইকেট পাবেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাঁরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারদের ভুলেই গিয়েছিলেন।

Share via
Copy link