চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে এখনও অনড় অবস্থায় ভারত ও পাকিস্তান। শেষ অবধি টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানি অনুষ্ঠিত না হলে, বেশ মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)।
ভারত যেমন সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা পাকিস্তান যাবে না, তেমনি তাদের ছাড়াই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান। টুর্নামেন্টটি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি ১৯ থেকে ৯ মার্চ অবধি অনুষ্ঠিত হবার কথা। কিন্তু এই রেষারেষিতে এখনও শিডিউলই প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সর্বশেষ ১৯৯৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। পিসিবি তাই এবার দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে জানান দিতে চাইছিল যে ‘নিরাপত্তা ইস্যু’ আর নেই। যেকোনো বড় টুর্নামেন্টই আয়োজনে নিরাপদ জায়গা পাকিস্তান। তবে বিধিবাম, ভারত আসবে না খেলতে। পাকিস্তান ও ভারতের হাইব্রিড মডেলে আরব আমিরাতে তাদের (ভারত) ম্যাচগুলো নিতে দিবে না।
ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্টটি যদি স্থগিত বা অন্য কোন দেশে স্থানান্তরিত হয় তবে বেশ বিপদেই পড়তে যাচ্ছে পিসিবি। আইসিসি থেকে কমতে পারে ফান্ডিং, হতে পারে নিষিদ্ধও!
শুধু তাই না সূত্রটি থেকে আরো জানা যায়, যদি পাকিস্তানে টুর্নামেন্টটি না হয় তবে আয়োজক হিসেবে পেতে যাওয়া ৬৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারও হারাবে পিসিবি।
ক্ষতির অঙ্কটা আরো বাড়বে কেননা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ইতিমধ্যেই অনেক খরচ করে ফেলেছে পাকিস্তান। কারাচি, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর স্টেডিয়ামে বেশ সংস্কার ও বিনিয়োগ করেছে দেশটি। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানি মিডিয়া জানিয়েছে, পিসিবি নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের না আসার কারণটি প্রত্যাখান করেছে। কেননা, গত দুই বছরে নিউজিল্যান্ড তিনবার এসে খেলে গিয়েছে পাকিস্তানে। এছাড়া ইংলিশরা দুই’বার, অজিরা এসেছে একবার।
শেষ অব্ধি পাকিস্তান না খেলার সিদ্ধান্ত নিলে বিপাকে পড়বে আইসিসি। ব্রডকাস্টিং থেকে শুরু করে স্পনসরশিপ অথবা বান্যিজিক পার্টনারশিপ সবই হাত ছাড়া হতে পারে তাদের। কেননা ভারত -পাকিস্তান ম্যাচের যে উদ্দীপনা তা না থাকলে কমবে লাভের অংশ ও। তাই ভারত, পাকিস্তানের এই অনড় অবস্থায় বলটা এখন আইসিসির কোর্টে। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় গোটা দুনিয়ার ক্রিকেট প্রেমিরা।