নটরাজকীয় শক্তিশেল

গিলি অন্যরকম। এক প্রকৃত বাঁ-হাতি উইকেট কিপারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অদ্ভুত ব্যাটিং গ্রিপ, কিন্তু কব্জির জোরে পাওয়ার হিটিং বোধহয় ভিভের পরে পৃথিবী প্রথম দেখল। গিলি ব্যাট ধরতেন একদম হ্যান্ডেলের উপরের দিকে।

ছেলেবেলায় ময়দানে মিলিটারি টাট্টু হত, বাবা দেখতে নিয়ে যেতেন। সে বাবা বহুত হ্যাপা। বেঁটেখাটো লোক, কী হচ্ছে কখন হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি না, খালি দেখি লোকে অবাক বিস্ময়ে হাততালি দিচ্ছে। শুধু যখন একটা মোটর বাইকে ২১ জন চাপত, তখন বাবা কাঁধে তুলে দেখাতেন। স্টার অ্যাট্রাকশন। ৭০-এর ব্রাজিলের যেমন ছিলেন এডসন আরেন্তাস ডু নাসিমেন্টো। বার্সার মেসি, রিয়ালের রোনালদো। নব্বইয়ের দশকে লোকে পাকিস্তানের খেলা দেখতে যেত শাহবাজ আহমেদের জন্য। তাহলে নব্বইয়ের শেষ আর শূন্য দশকে কার জন্য লোকে অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখতে যেত?

রিকি পন্টিং, ম্যাথু হেইডেন? নাকি শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা? নাকি দু’দলের মাঝখানে অলরাউণ্ডারের সংজ্ঞা যিনি প্রকৃত অর্থেই বদলে দিয়েছিলেন সেই অ্যাডাম ক্রেগ গিলক্রিস্ট।

আসলে অস্ট্রেলীয়দের মারকুটে, ঝগড়ুটে মনোভাবের (আসলে কম্পিটিটিভ) জন্য অনেকেই হয়তো পছন্দ করত না। কিন্তু গিলি অন্য রকম। এক প্রকৃত বাঁ-হাতি উইকেট কিপারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অদ্ভুত ব্যাটিং গ্রিপ, কিন্তু কব্জির জোরে পাওয়ার হিটিং বোধহয় ভিভের পরে পৃথিবী প্রথম দেখল। গিলি ব্যাট ধরতেন একদম হ্যান্ডেলের উপরের দিকে। বুড়ো আঙুল আর তর্জনীর মাঝের যে ‘ভি’ ডান হাতের সেই ভি থাকতো একেবারে ব্যাটের পিছনের মাঝ বরাবর বাঁ-হাতের গ্রিপ তার ঠিক নিচেই যেন খেজুর গাছে ঝুলে আছে, এই লঙ হ্যান্ডেল গ্রিপ নিয়েই তাণ্ডব, শিবের নটরাজ নৃত্য।

বল সামনে পড়ল তো পা গেল কি গেল না, মাথা গেল বলের উপর আর বল উড়ে গেল। বল খাটো লেন্থে তো ডান পায়ের উপর পিভট করে ব্যাট ব্রতচারীর লাঠির মত পাইপাই করে ঘুরে গেল মাথার উপর। অফ আর লেগ দুদিকেই, বল বাইরে। স্পিনার? হাঁটু মুড়ে বসে কাউ কর্ণার অথবা স্টেপআউট করে ক্যাটেল গ্রেভে। পেসার? ইয়র্কার? আবার নামল উঠল ব্যাট, আকাশে ঘুরল যেন মুক্ত অসি। অফ স্টাম্পের বাইরে, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট আর গালির মাঝের স্ক্রিন ফুটো করে বাউন্ডারি বোর্ডের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে।

তা এহেন গিলি প্রথম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে নামেন যখন অজি কিংবদন্তি এবং সর্বকালের হয়তো সেরা উইকেট কিপার ইয়ান হিলি এবং তদানীন্তন অধিনায়ককে সীমিত ওভারের খেলা থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে। অস্ট্রেলীয় নির্বাচকরা ঠিক করেছে ফেলেছেন যে সীমিত ওভারের আলাদা দল, তার অধিনায়ক স্টিভ ওয় এবং টেস্টে আলাদা দল, যার অধিনায়ক মার্ক টেলর। ওই হয় না, সকলের জন্য একটা সেট রোল থাকে, উইকেট কিপার ব্যাট? বেশ কথা নামাও তাকে সাত নম্বরে। তা গিলি সফল হলেন না। বেশ কিছুদিন পরে, মার্ক ওয়-র সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওপেন করতে পাঠানো হল তাকে। যা বেটা, দুনিয়া জিতকে আ। ঠিক যেভাবে ভাইজাগে রাঁচির লাডলাকে বলেছিল, সৌরভ। একইভাবে।

প্রথম নয়, দ্বিতীয় ম্যাচে ঝোড়ো সেঞ্চুরি। ব্যাস টলাতে পারেনি কেউ! তারপর, তারপর বিশ্বকাপ। দুটো সেঞ্চুরি। ফাইনালে পঞ্চাশ করে ম্যাচ জেতানো। ৫২৫ রান। এসবের মাঝে সুযোগ এল টেস্টে। ইয়ান হিলি অবসর নিলেন, গিলি হিলির জায়গা নিলেন। প্রথম ম্যাচ ব্রিসবেনে, এমন কিছু না, ঝোড়ো ৮১ করে ফিরলেন প্রথম ইনিংসে। সে অনেকেই করে। যে টিমে মার্ক স্টিভ স্ল্যাটার ল্যাঙ্গার পন্টিং ম্যাকগ্রা ওয়র্ণ গিলেসপি রয়েছে সেখানে উইকেট কিপার আরেকটি রত্ন।

কিন্তু সেই রত্ন যে কাঁচ কাটা হিরে সে বোঝা গেল পরের টেস্টে। যখন হোবার্টে, ৩৬৯ তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া ১২৬এ ৫ উইকেট। বিপরীতে ওয়াসিম, ওয়াকার, শোয়েব, শাকলাইন আগুন ছোটাচ্ছেন। গিলি নামলেন যেমন নামেন আর কি। মাঠে যাবার খুব তাড়া, হুড়মুড়িয়ে নামা। ছুটতে ছুটতে হাত ঘোরাতে ঘোরাতে গিয়ে ওয়ান লেগ গার্ড।

ব্যাটের উপর দিকে ডান হাত, আর তার ঠিক নিচেই বাঁ। সামান্য ঝুঁকে ব্যাট ঘনঘন ঠোকা। তারপর? আগুনকে ছাতু হতে বেশি সময় লাগেনি। ঝটকা তো আর ধীরে লাগে না, পাকিস্তান এরপর কুল্লে ল্যাঙ্গারকে সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়ার পরে আউট করতে পেরেছিল। তাও, সান্ত্বনা পুরস্কার। ১৬৮ বলে যে তাণ্ডব গিলি চালালেন তা সামলানোর ক্ষমতা কোনও মাই কা লালের ছিল না। শিবের সামনে নশ্বর মানুষ তো তরমুজের সামনে মুসুর ডাল।

ব্যাটিং আর্টটাই বদলে দিলেন। কনভেনশন দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল। সাত নম্বরে গিলক্রিস্ট মানে প্রথম ছ’জনের ট্রেলারের পরে আসলি পিকচার আব শুরু। সীমিত ওভারে ওপেন করতে গিয়ে অন্য গল্প। হেডেন দানব, কিন্তু গিলি! তিনি তো নশ্বর ঈশ্বরের মত দেখতে। লম্বা বটে, উইকেট কিপিং-এর জন্য হয়তো একটু বেশিই লম্বা। কিন্তু তাতে কী!

ম্যাথু হেইডেনের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মানব সংহারে গিলক্রিস্ট অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বেশির ভাগ সময়ে হেডেনকেও ছাপিয়ে যান তাণ্ডবে। পাওয়ার হিটিং-এর এক অদ্ভুত মহিমা। তুলনায় আসতে পারেন ভিভ অথবা কেভিন পিটারসন। দুজনেরই কব্জির জোর সাংঘাতিক, গিলিরও। কব্জির মোচড়ে বড় বড় হাতিঘোড়া এক ঝটকায় পেড়ে ফেলতে ওই তিনজনেরই তুলনা নেই। সীমিত ওভারে গিলি আউট হওয়া মানে কুড়মুড়ে পাঁপড়ের পর মিয়ানো বাসি লুচি।

আর কিপিং? টেস্ট এবং একদিনের ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিকারি। গিলির স্টাইল ছিল কপিবুক নয় কিন্তু ভয়ঙ্কর ছন্দ নির্ভর। কিপারের জন্য বেশি লম্বা হলেও স্টান্সে বসতেন একেবারে স্কোয়াট করে, স্পিনের ওঠানামায় যে শুরুতে খুব স্বচ্ছন্দ ছিলেন তা নয়। তবে কেরিয়ারে অধিকাংশ সময় যিনি শেন ওয়ার্ন এবং স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে কীপ করেছেন তাঁর তো উন্নতি হতে বাধ্য। এই একটা ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব কপিবুক হবার চেষ্টা করেছেন।

তুলনায় আসে মাহি ধোনির, কিন্তু মাহি স্পিনে বলের পেছনে শরীর নিতেন না, অদম্য রিফ্লেক্স এবং চোখের ভরসায় হাত ঠিক নিয়ে ব্যালেন্স বজায় রাখতেন। কিন্তু গিলি, এই ক্ষেত্রে একেবারে ব্যাকরণ মেনে চলেছেন, বল স্পিন করে বাইরে যাচ্ছে তো গিলিও শরীর নিয়ে তার পেছনে, তবে সুবিধা ছিল বাঁ-হাতি হবার, স্ট্যাম্পিং বাঁ-হাতে করেছেন অধিকাংশ সময়ে। পেস বলে নিচু হয়ে থাকা এবং অসম্ভব আক্রোব্যাটিক দক্ষতা ছিল সাফল্যের চাবিকাঠি।

আর বিশ্বকাপে? গিলক্রিস্ট ক্রিকেটের কাফু। অবশ্য তিনটে ফাইনাল খেলে তিনটেই জিতেছিলেন তিনি। আর একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে পরপর তিনটে ফাইনালে পঞ্চাশ আছে। শেষ ফাইনাল ২০০৭এর কিংবদন্তী স্কোয়াশ বল গ্রিপে ১৪৯। ভিভ রিচার্ডসের ১৩৮ অথবা অরবিন্দ ডি সিলভার ১০৭ কিংবা ২০০৩এর রিকি পন্টিং-এর ১৪০এরও উপরে রাখা হয় সেই ১০৪ বলের ইনিংসটাকে। একার হাতে শেষ করে দিয়েছিলেন বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনাল।

আর স্কোয়াশ বল? এটা বোধহয় তাঁর পার্থের ব্যক্তিগত কোচের কারনামা। আসলে অত উপরে ব্যাট ধরেন আর বাঁ-হাত শক্ত করে ধরা থাকে না বলে নিচের হাত বেরিয়ে যাচ্ছিল ব্যাট ঘুরে যাচ্ছিল, গিলির। তার থেকে বেঁচে বেরোনোর পরামর্শ দেন কোচ। হাতে একটা ছোট স্কোয়াশ বল বুড়ো আঙুলের নিচের উঁচু অংশে রাখলে ব্যাট ধরতে সুবিধা হবে এবং হাত আলগা হয়ে যাবে না। ছোট্ট নড়াচড়া গিলির খারাপ ফর্মকে ১৪৯এ পাল্টে দিল।

টেস্টের মাঠেও, ৭ নম্বরে নেমে ১৭ টা শতরান, তাও একশ টেস্ট না খেলে। দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান, অষ্টম দ্রুততম দ্বিশত-রান। সর্বাধিক স্ট্রাইক রেট। প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ ছয় মারা। এগুলো থেকেই যাবে। কত ম্যাচ যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি ঘুরিয়ে দিয়েছেন ইয়ত্তা নেই।

কিন্তু শেষ করার আগে পার্থের সেই ইনিংসটা দিয়ে শেষ করতেই হয়। ২০০৬ গিলি আর সেই তরুণ তুর্কী তরবারি নেই। তাঁর তলোয়ারের শানে মরচে ধরছে, রিফ্লেক্স কমছে। অন্তত সমালোচকরা তো এভাবেই বলছেন। ২-০ পিছিয়ে ইংল্যান্ড। ফিরে আসার একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল ফ্লিন্টফ, হার্মিসন, হগার্ড আর পানেসরের লড়াইতে। প্রথম ইনিংসে পানেসর ৫ উইকেট। মাইক হাসি ১০০ করে আউট হলেন, অসম্ভব গরম। হাঁসফাঁস করছে দর্শকরাও।

নামলেন গিলি। সিরিজে দুটো শূন্য। গিলি নামলেন আর বল বাইরে যেতে শুরু করল। মাইকেল ক্লার্ক উল্টোদিকে ব্যাট করছিলেন। নটআউট ছিলেন ১৩৫এ, দর্শক আসনের সেরা সীটটা বোধহয় ক্লার্কেরই ছিল। ক্লার্ক এবং গিলি দুজনেই নিশ্চিত হয়ে বলছিলেন যে ডিক্লেয়ার করা হবে কি না সেটা দ্বাদশ ব্যক্তিকে দিয়ে জিজ্ঞাসা করে পাঠিয়েছিলেন উভয়ে। গিলি তখন পঞ্চাশ করেছেন সবে, ৪০ বলে। পন্টিং সাজঘর থেকে কী বলেন, সেটা নাকি উভয়েই বুঝতে পারেননি।

পন্টিং মনে হয় বলেননি, কিন্তু গিলি ভেবেছিলেন পন্টিং বলেছেন যে ডিক্লেয়ার করা হবে। তারপর যেটা হল সেটা বিশ্বযুদ্ধ, ইরাকযুদ্ধ বা আলকায়দার ডেরা আক্রমণ। শাঁ শাঁ করে ক্রুজ মিশাইল উড়ে যেতে লাগল, ওয়াকার চার পাশে, বিদ্যুতের মতো ব্যাট ঝলসাচ্ছে আর পার্থের সূর্যও চিন্তায় পড়ে যাচ্ছিল যে ছুটকো একটা বল কখন উড়ে এসে ঢেকে দেবে তাকে। পানেসারের এক ওভার ২৪, প্রথম বল মিস করেও। ম্যাথু হগার্ড এলেন বল করতে।

গিলি ৯৬, ৫৫ নম্বর বল। হগার্ড যেন ইচ্ছা করেই ট্রামলাইন ঘেঁসে ওয়াইড ইয়র্কার দিলেন। পরে বলেছিলেন গিলি, তাঁর স্বভাবত বিনয় নিয়েই, ‘রেকর্ড সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে, রিচার্ডসই এই রেকর্ড রেখে দেবার জন্য যোগ্য লোক’। বলটা মিস করেন, তার পরের বলে তিন রান। শেষে মিড অফের পাস দিয়ে মেরে ২ রান নিয়ে ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করলেন গিলি।

তবে ব্যাটের তাণ্ডব, ভুলহীন কিপিং-এর উপরে উঠে মানুষ হিসেবে গিলি বোধহয় সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন, ২০০৩-এর সেমি ফাইনালে। আম্পায়ার নট আউট বলার পরেও গিল্ক্রিস্ট বেরিয়ে গেছিলেন। সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে অস্ট্রেলীয়দের, যারা ভদ্রতা নয় আগ্রাসন দিয়ে ক্রিকেটের নিক্তি পরিমাপ করেন। তবুও পাল্টাননি। বাংলাদেশে তো তৃতীয় আম্পায়ারও খোঁচা ধরতে পারেননি। কিন্তু গিলি নিজেই বুঝতে পেরে দাঁড়াননি।

অস্ট্রেলীয় ছিলেন না তিনি। অন্তত: আউট হয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই সেটাই লেখা ছিল। স্বীকারও করেছেন, ড্রেসিংরুমে অস্ফুটে প্রায় প্রত্যেকেই এই হেঁটে চলে যাবার বিরোধী ছিলেন। কারুর সাপোর্ট পাননি। তবু শেষ দিন পর্যন্ত চলে যাওয়া আটকাননি। ব্যাটিং স্টান্স একেবারেই নিজস্ব ছিল, চলনে বলনে এক আপাদমস্তক ভদ্রলোক। অধিনায়ক হিসাবেও সফল হতে পারতেন।

অন্তত: সীমিত সুযোগে সেটাই মনে হয়েছে। আইপিএল প্রায় একার চেষ্টায় যে বার জিতলেন, সে বারই ঝলক দেখা গিয়েছিল। তবু এই পারতেন নিয়েই গিলক্রিস্ট। অথবা ওই পারতেনটা তাঁর ন্যারেটিভের অঙ্গই নয়। কী হলে কী হত, এসব কক্ষনও ভাবেননি বলেই হয়ত প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে কলমে উঠে এলেন তিনি।

নটরাজের সৌন্দর্য ছিল না, অথবা ভীমসেনের গদার শক্তি। কিন্তু উভয়ের মিশেলে এক হাইব্রিড মিশাইল তৈরি হয়েছিল, যা বিশ্বজুড়ে বোলারদের রাতের ঘুম দিনের শান্তি উড়িয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। ভালোবাসা পেয়েছেন অকাতরে, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ছেড়ে চলে গেছেন, ১০ বছরের বেশি হয়ে গেল, এখনও সঠিক পরিবর্তন খুঁজে পায়নি অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্ব ক্রিকেটে গিলক্রিস্টরা একবারই আসেন। আর ভাগ্যবান যারা আমরা, দু’চোখ ভরে তাণ্ডব দেখে সঞ্চয়ে রাখি মণিকোঠায়। এখনও চোখ খুললে দেখা যায়, শর্ট ব্যাকলিফট চাবুকের মত নেমে আসছে বলের উপর, শুধু স্পর্শের অপেক্ষা, বাধ্য ছেলের মতই নিমেষে সে ছুটে যাবে বাউন্ডারির বাইরে। অ্যাডাম গিলক্রিস্টদের নির্দিষ্ট চৌহদ্দি দিয়ে আটকে রাখা যায় না যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link