বিজয় কী আর ফিরতে পারবেন?

গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে রেকর্ড গড়ে জাতীয় দলের দরজাটা ভেঙেছিলেন তিনি। কয়েক বছর পর আবার তাঁকে ডাকা হয় জাতীয় দলে। ওয়ানডে ফরম্যাটের ওই টুর্নামেন্টের এক আসরেই করেছিলেন হাজারের বেশি রান। এরপর জাতীয় দলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ একটা সিরিজ কাটিয়েছেন।

জাতীয় দলে তাঁর প্রত্যাবর্তনটা হয়েছিল স্বপ্নের মতই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে করেছিলেন দুটি অর্ধশতক। এরপর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে আবার হয়েছেন ব্যর্থ। আর তাতেই আবার বেজে গিয়েছে বিদায় ঘন্টা। এবার যে এনামুল হক বিজয় বাদ পড়লেন, তা কী একটা বার্তা? আবারো জাতীয় দলে ফেরাটা বিজয়ের জন্য বেশ কঠিনই হয়ে পড়ল।

গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে রেকর্ড গড়ে জাতীয় দলের দরজাটা ভেঙেছিলেন তিনি। কয়েক বছর পর আবার তাঁকে ডাকা হয় জাতীয় দলে। ওয়ানডে ফরম্যাটের ওই টুর্নামেন্টের এক আসরেই করেছিলেন হাজারের বেশি রান। এরপর জাতীয় দলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ একটা সিরিজ কাটিয়েছেন।

তবে শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে নিজের ফর্মটা ধরে রাখতে পারেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটা ধরে রাখতে পারলেন না বেশিদিন। ভালো মানের বোলারদের বিপক্ষে তাঁর দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে সহজেই।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজটা খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তামিম ইকবালের ইনজুরির কারণেই। তবে এবার আবার ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। এছাড়া তাঁর সাথে সঙ্গ দেয়ার জন্য তো লিটন দাস আছেনই। ফলে বাংলাদেশের ওয়ানডে ফরম্যাটের ওপেনিং জুটিটা একেবারেই পাকা।

তবুও বিকল্প ওপেনার হিসেবে তো একজনকে দলে রাখা হয়। সে জায়গাটাতেও সুযোগ পেলেন না বিজয়। জানা যায়, নিজের ব্যাটিং টেকনিকে দুর্বলতার কারণেই তাঁকে দলে রাখা হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা কঠিন মনে করেন দলের অনেকেই।

ফলে তাঁর বদলে জায়গা হয়েছে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল হোসেন শান্তর। এক বিপিএলে করেছেন ৫০০ এর বেশি রান। তাঁর পুরষ্কার হিসেবে আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে।

ওদিকে সিলেট স্ট্রাইকার্সে তাঁর ওপেনিং পার্টনার তৌহিদ হৃদয়ও ছিলেন দারুণ ফর্মে। তিনিও করেছে চারশোর বেশি রান। আর তরুণ এই ব্যাটারকেও মনে ধরেছে নির্বাচকদের। অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনায় থাকা এই ব্যাটারও জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে।

অবশ্য হৃদয়কে মিডল অর্ডারেই খেলানোর পরিকল্পনা দলের। তবে প্রয়োজন হলে ওপেনও করতে পারেন এই ব্যাটার সেটা তো প্রমাণিতই। সব মিলিয়ে তামিম- লিটনই এখন ওয়ানডে ফরম্যাটের নিয়মিত ওপেনার।

আর ব্যাকআপ হিসেবে শান্ত কিংবা হৃদয়দেরই বেশি পছন্দ টিম ম্যানেজম্যান্টের। আর তাঁদের জায়গা দিতে গিয়েই আবারো জায়গা হারালেন এনামুল হক বিজয়। লম্বা সময় পর ফিরেও নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে পারলেন না এই ব্যাটার।

তবে বিজয়ের এই বাদ পড়াটা তাঁর জন্য বেশ শঙ্কারই। কেননা এই মুহূর্তে আবারো ওয়ানডে দলে ফেরা তাঁর জন্য প্রায় অসম্ভবই। ফিরতে হলে আবারো কোন রেকর্ড করেই আসতে হবে। গতবারের মত আবারো এমন অবিশ্বাস্য কিছু না হলে তাঁর জন্য ফেরার পথটা কঠিন।

তবুও নিশ্চয়ই হাল ছেড়ে দিবেন না এই ব্যাটার। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আরেকটা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগই পড়ে আছে তাঁর সামনে। সেখানে হয়তো আরেকবার নিজেকে ফিরে পেতে চাইবেন তিনি।

বিজয় যদি সত্যিই সেটা পারেন তাহলে দলের জন্যও ভালো। বিকল্প ওপেনার অন্তত প্রস্তুত থাকবে বাংলাদেশ দলে। তামিম-লিটনরা কোন কারণে না থাকলে ভুগতে হবে না ওপেনিং শংকটে। তবে তাঁর আগে বিজয়কে বড় দলের বিপক্ষে রান করার জন্য প্রস্তুত হওয়া চাই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...