এক ইনিংসে দুই ভিন্ন রূপ থুসারার

উইকেট শিকারে যতটা রঙিন ছিলেন তিনি, রান খরচে ছিলেন এর চেয়েও বিবর্ণ।

সিলেটে সেদিন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দু’দলের মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন একজনই, তিনি নুয়ান থুসারা। স্লিঙ্গা অ্যাকশনে টাইগার ব্যাটারদের রীতিমতো নাস্তনাবুদ করেছিলেন তিনি, তুলে নিয়েছিলেন হ্যাটট্রিক। তাঁর বোলিংয়ের ঝাঁঝ বাংলাদেশের মত এবার টের পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সও।

বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে খুব বেশি পরিচিতি পাওয়ার আগেই ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর নজরে চলে এসেছিলেন এই বোলার। তাই তো আইপিএলের সবশেষ নিলামে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিয়ে তাঁকে দলে নিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তাঁদের ভরসার প্রতিদান দিতে কার্পণ্য করেননি তিনি, একাই ধসিয়ে দিয়েছেন কলকাতার টপ অর্ডার।

এই ডানহাতিকে দিয়েই এদিন বোলিংয়ের সূচনা করিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে সময় লাগেনি তাঁর, চতুর্থ বলেই ইনফর্ম ফিল সল্টকে আউট করেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরো ভয়ঙ্কর রূপে দেখা যায় তাঁকে।

এই যাত্রায় থুসারা জোড়া আঘাত হানেন প্রতিপক্ষের শিবিরে, শ্রেয়াস আইয়ার এবং আঙকৃষকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা চেনান। তাঁর গতির বৈচিত্র্যের বিপরীতে কোন জবাব দিতে পারেনি ব্যাটাররা। সবমিলিয়ে এমন আগুন ঝরানো বোলিংয়ের ফলে ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে কলকাতা। যদিও উইকেট শিকারে যতটা রঙিন ছিলেন তিনি, রান বিলিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ছিলেন এর চেয়েও বিবর্ণ; সহজ ভাষায়, দু’হাতে রান দিয়েছেন এই উদীয়মান তারকা।

এমনকি যে দুই ওভারে উইকেট পেয়েছিলেন তিনি সেই দুই ওভারে মোট ২৫ রান দিয়েছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে এদিন তাঁর চার ওভার থেকে ৪২ রান আদায় করেছে প্রতিপক্ষ।

বোঝাই যাচ্ছে উইকেট পেলেও ব্যাটারদের সমীহ আদায় করতে পারেননি এই লঙ্কান। তাইতো নিজের পারফরম্যান্সে তুষ্ট না হয়ে আরো ধারালো হয়ে উঠার জন্য কাজ করতে হবে তাঁকে। তবেই মালিঙ্গা কিংবা চামিন্দা ভাসের আদর্শ উত্তরসূরী হয়ে উঠতে পারবেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...