চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ‘শনির দশা’ যেন কাটছেই না অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের। বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশাল ব্যবধানে হার দিয়ে। যদিও পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ধারায় ফিরে এসেছে তাঁর দল। তবে ব্যাট হাতে পুরো ম্যাচেই হতাশ করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তৃতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর চতুর্থ ম্যাচে এসে অবশেষে রানের দেখা পেলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়কের ৪৪ বলে ৬৩ রানের উপর ভর করে ১৭৯ রানের পুঁজি পায় অজিরা। শেষ পর্যন্ত বোলারদের অনবদ্য পারফরম্যান্সে ৪২ রান ম্যাচ জেতে তারা।
ম্যাচসেরার পুরষ্কার পাওয়া অ্যারন ফিঞ্চের নিজ ও দলের পারফরম্যান্সে যদিও খুশি হওয়ার কথা। তবে কপালে তার চিন্তার ভাঁজ। কেননা রানে ফেরার দিনেই যে ইনজুরি নিয়ে আগেভাগে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
ম্যাচ শেষে ইনজুরি নিয়ে অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, ‘হালকা ব্যাথা অনুভব করছি, আগামীকাল স্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশ্য এর আগেও এমন ইনজুরিতে ভুগেছি। যদিও এই মুহূর্তে অতোটা গুরুতর মনে হচ্ছেনা, বাকিটা স্ক্যানের পর বুঝতে পারবো।’
এসময় নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন অজি অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘উইকেটে রান করা মোটেও সহজ ছিলো না। আমরা যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও স্লো ছিলো উইকেট। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।’
আয়ারল্যান্ডের ২৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অনেকটা একাই ৪৮ বলে ৭১ করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন উইকেটকিপার ব্যাটার লরক্যান ট্যাকার। এসময় তার ভূয়সী প্রশংসা করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
তিনি বলেন, ‘যদিও তাদের শুরুটা ভালো হয়নি তবে শেষ অবধি লড়াই জারি রেখেছিলো। অবশ্যই তা প্রশংসার দাবিদার। ট্যাকারকে যদি কেউ সঙ্গ দিতে পারতো আমাদের জন্য তা বিপর্যয়ের কারণ হতো। অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে সে। বিশ্বকাপে দারুণ কিছু সময় কাটছে তার।’
সিঙ্গাপুর বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার টিম ডেভিড যদিও ফিল্ডিংয়ে পুরোটা সময় মাঠে নামেননি। ‘তার ইনজুরি ততটা মারাত্মক নয়, তা কেবলই সতর্কতার জন্য’, বলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।
আগামী শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।