বেঞ্চ ওয়ার্মারদের জ্বালা সবচেয়ে বেশি ভাল জানতেন অমল মুজুমদার। শৈশবে বেঞ্চে বসে শচীন টেন্ডুলকার-বিনোদ কাম্বলিদের রেকর্ড গড়তে দেখেছেন স্কুল ক্রিকেটে। আদৌ আর আউট হননি এই দু’জন, অমলের অপেক্ষার অবসান হয়নি গোটা ক্যারিয়ারেও, ঘরোয়া ক্রিকেটে কিংবদন্তি হয়েও জাতীয় দলের দরজা চিরতরে বন্ধই ছিল।
সেই আক্ষেপটা এখনই হয়তো টের পাচ্ছেন না আরিফুল। কিন্তু, তাঁর গল্পটাও একই রকম। তিনি সেই ২০২১ সাল থেকেই জুনিয়র টাইগারদের মহাতারকা। কিন্ত, তাঁর জারিজুরি ওই যুব দলেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু, মূল পর্যায়ে আসার লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণের সুযোগটা পান সামান্যই।
২০২২ সালে জুনিয়র পিএসএলে গিয়ে বসে রইলেন বেঞ্চে। পরের পর অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে প্রথমবারের মত বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করলেন। ফাইনালের নায়ক ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের যুব বিশ্বকাপের দারুণ উপভোগ্য দু’টো সেঞ্চুরি করলেন।
এরপর? এরপর আরিফুলের অপেক্ষার পালা শুরু হল। ‘এ’ দল বা ইমার্জিং এশিয়া কাপ – যেখানেই গিয়েছেন তিনি বেঞ্চ গরম করেছেন কেবল। অস্ট্রেলিয়ায় হাই পারফরম্যান্স দলের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন, সেখানে ছয় ম্যাচের মধ্যে খেললেন কেবল একটি।
সেই আরিফুল ইসলামের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হল। অভিষেকেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কোনো ভাবেই তাঁর অপেক্ষার প্রহরটা এতটা বড় হওয়ার কথা নয়। ঢাকা বিভাগের হয়ে তিনি আরেকটু হয়ে সেঞ্চুরিই করে ফেলেছিলেন।
যাত্রা থেমে যায় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ছয় রান দূরে। কাভারে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন সিলেট দলের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। এর আগে রয়ে যায় ৪৬ বলের এক ঝড়। যে ছড়ে লেখা ছিল আটটি ছক্বা ও ছয়টি চার। স্ট্রাইক রেট ২০৪.৩৫! এই তরুণের যত্ন নিতে বাধ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট।