অবশেষে দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। আইপিএলে প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন টেন্ডুলকার! কিছুটা দ্বিধায় পড়ে গেলেন নিশ্চয়ই?
শচীনপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার আইপিএলের মঞ্চে পা রাখলেন, এই কিছু দিন হলো। এখন পর্যন্ত তাঁর আইপিএল অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে ২টি ম্যাচ। নিজের প্রথম ম্যাচে উইকেট পাননি। তবে শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ ওভারে ভূবনেশ্বর কুমারকে আউট করে আইপিএলে নিজের উইকেট প্রাপ্তির খাতা খুলেছেন অর্জুন টেন্ডুলকার।
আর তাতেই বাবা শচীন টেন্ডুলকারের টুইট—’অবশেষে একজন টেন্ডুলকার আইপিএলে উইকেট পেল।’ শচীন টেন্ডুলকার মূলত এই উইকেটসংখ্যা নিজের সাথেও যোগ করে টুইটটি করেছেন। আইপিএলে ৭৮ টা ম্যাচ খেলেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। কিন্তু তাতে ব্যাটার শচীন রান বন্যা বইয়ে দিলেও, বোলার শচীন ছিলেন উইকেটশূন্য। অবশেষে তাঁর পুত্র এসে সেই শূন্যতা কাটালেন। অর্জুন আর শচীন- আইপিএলে এই দুই টেন্ডুলকারের এখন উইকেট সংখ্যা একটি।
নিজের পুত্রের উইকেট প্রাপ্তির দিনে শচীন টেন্ডুলকার অবশ্য মুম্বাইয়ের ম্যাচ জয়ে অন্যদের কৃতিত্বকেও সামনে টেনে এনেছেন। বরং টুইটের অনেকটা জুড়েই ছিল ক্যামেরুন গ্রিন, তিলক ভার্মা আর ইষান কিষাণদের বন্দনা। সেখানে তিনি লিখেন, ‘মুম্বাইয়ের আরো একটি অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ক্যামেরুন গ্রিন দুর্দান্ত। যথারীতি দারুণ তিলক আর ইষাণ। ছেলেরা ভাল খেলেছো। এভাবেই চলতে থাকুক।’
অবশ্য শচীনপুত্রের আইপিএলে উইকেটপ্রাপ্তির দিনে একটি মহল অর্জুনকে নিয়ে টিপ্পনি, কটাক্ষ, হাস্যরসাত্বক ট্রলে সরব ছিল। মূলত পেসার হয়েও অর্জুনের বোলিং স্পিড চোখে পড়েছে অনেকের। গত ম্যাচে ইনিংসের শেষ বলে ১০৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন অর্জুন। আর তাতেই অনেকের ট্রলের খোরাক হয়ে পড়েন তিনি।
একজন টুইটারে মজা করে বলেছেন, ‘শহীদ আফ্রিদি স্পিনার। তাঁরও ১৩৪ কিলোমিটার গতিতে বল করার রেকর্ড আছে। আর শচীনের পুত্র কিনা ১৩০ ই তুলতে পারেন না।’
সামাজিক মাধ্যমগুলোর এমন ট্রল, টিপন্নীতে যোগ দিয়ে আবার আরেকজন লিখেছেন, ‘ গেইলের সামনে অর্জুন বল করলে ওভারের ৬ টা বলেই ৬ ছক্কা হজম করতো।’
অবশ্য এমন কটাক্ষমূলক পোস্টগুলোকে আবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কারণ প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় ক্রিকেটার কিংবা পরিচিত মুখকে নিয়ে এ সব মাধ্যমগুলোতে ট্রল, মিমস, কটাক্ষ করা পোস্টেই সব সময় পূর্ণ থাকে। আর শচীনপুত্র হওয়ায় নেপোটিজমের আনুকূল্য দেখিয়ে যে এটি নিয়ে বেশি চর্চা হবে, তা আগেই অনুমেয় ছিল।
কিন্ত বাস্তবতা বলে, অর্জুন টেন্ডুলকার স্বীকৃত ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছেন এই বছর খানেক আগে। আর আইপিএলে টানা দুই আসার মুম্বাইয়ের সাইডবেঞ্চে কাটানোর পর তিনি অবশেষে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। অথচ এই দলেরই মেন্টর আবার তাঁর বাবা শচীন টেন্ডুলকার। তাই নেপোটিজমের শত অভিযোগ তুললেও, সত্যটা হলো, অর্জুনকে প্রমাণ করেই ঐ জায়গাটায় পৌঁছাতে হয়েছে।