টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে রীতিমত আকাশে উড়ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে এবার তাদের জয়রথ থামিয়ে দিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম পরাজয়ের মুখ দেখল মাশরাফির দল। কুমিল্লা কাছে তারা হেরেছে ৫ উইকেটে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে ইনিংসের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করে কুমিল্লার পেসাররা। সিলেট ইনিংসে বিপর্যয়ের শুরুটা হয় ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে। পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন হাসান আলী।
সিলেটের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা সেখান থেকেই। এ দিনে ব্যাটিং লাইনআপে উপরের দিকে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন আকবর আলী। আবু হায়দার রনির বলে মোসাদ্দেককে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ১ রানে। এর কিছুক্ষণ বাদে হাসান আলীর বলে আউট হয়ে জাকির হাসানও ফিরে যান ৯ রান করে।
সিলেটের এ বিপর্যয় সামাল দেওয়া চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিম আর নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। বরং অতিরিক্ত ডট বলের কারণে উল্টো দলের উপর চাপ বাড়িয়েছেন। মুশফিকের ১৬ রানে বিদায়ের পর ৫ রানের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারায় সিলেট। ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত ধুঁকছিল সিলেট।
তবে থিসারা পেরেরা আর ইমাদ ওয়াসিম মিলে সে বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। তাদের ৮০ রানের জুটিতে ১৩৩ রানের লড়াই করার মতো একটা সংগ্রহের দেখা পায় সিলেট। ইমাদ ওয়াসিম করেন ৩৩ বলে ৪০ রান আর পেরেরা খেলেন ৩১ বলে ৪৩ রানের একটি ইনিংস।
১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করতে থাকে কুমিল্লা। মোহাম্মদ রিজওয়ান তাঁর ইনিংস তেমন বড়ো করতে না পারলেও আগের ম্যাচের মতোই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন লিটন দাস। ৭ চার আর ৪ ছক্কায় ৪২ বলে খেলেন ৭০ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। কুমিল্লাকে ম্যাচটা একদম হাতের মুঠোয় এনে দেয় লিটনের এই ইনিংসই।
মাশরাফির বলে লিটন আউট হওয়ার পর ৬ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট পড়ে গেলেও দলের তেমন বিপদ হয়নি। ৬ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ নিয়ে হ্যাটট্রিক হারের পর টানা দুই ম্যাচ জিতে বেশ ভালভাবেই ঘুরে দাঁড়াল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।