ছন্নছাড়া অনুশীলনেও শক্তিশালী বরিশাল

বিপিএলের আরেকটি আসর মাঠে গড়াতে বাকি নেই এক সপ্তাহও। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর অনুশীলন দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। একটা দলের হয়ে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করতে এসেছেন তবে সবাই কেমন যেন ছন্নছাড়া। অধিকাংশ দলেরই নেই নিজস্ব জার্সি, হেলমেট কিছুই। ফলে দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই কোন দল অনুশীলন করছে।

জার্সি না থাকলেও ক্রিকেটার ও কোচদের দেখেই বুঝে নিতে হল সকালে সবার আগে অনুশীলনে এসেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। আর চট্টগ্রামের প্রথম পছন্দ আফিফ হোসেন এসেছেন দলের সবার আগে। সকাল এগারোটায় অনুশীলন শুরু হবার কথা থাকলেও দশটার দিকেই মিরপুরে চলে আসেন এই ব্যাটার। দলের সাথে অনুশীলন করার আগে নিজের মত করে ব্যাটিং অনুশীলন করতে দেখা যায় তাঁকে।

এরপর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল অ্যাকাডেমি মাঠে পাশাপাশি অনুশীলন শুরু করে। ফরচুন বরিশাল আজ বেশি নজর দিয়েছে ফিল্ডিংটাতেই। প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুল দুই ভাগে ভাগ করে ফিল্ডিং অনুশীলন করাতে থাকেন।

প্রথম ভাগে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ফজলে রাব্বি ও এবাদত হোসেনরা। প্রত্যেককে দিয়েই ক্যাচিং ও থ্রোয়িং অনুশীলন করান কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। ব্যাট, বলের পারফর্মেন্সের মত ফিল্ডিংটাও দারুণ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অসাধারণ কয়েকটা ক্যাচ ধরার পাশাপাশি, সরাসরি থ্রো করেও কোচের মন জয় করেছেন।

ভারতের বিপক্ষে ব্যাট ও বল হাতে অবিশ্বাস্য পারফর্মেন্স করার পর আত্মবিশ্বাসটাও যেন অনেকাংশেই বেড়ে গিয়েছে এই অলরাউন্ডারের। অনুশীলনে বেশ কঠিন একটা ক্যাচ হাত থেকে ফসকে গেলেও মিরাজ হতাশ হলেন না। উল্টো বলে উঠলেন, ‘থাক ব্যাপার না, এটা ম্যাচে ধরে ফেলব নে।’

ফলে বোঝাই যাচ্ছে মাঠের ক্রিকেটে এবার একচুলও ছাড় দিতে রাজি নন এই ক্রিকেটার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানেরও তুরুপের তাস অলরাউন্ডার মিরাজই। ওদিকে বিপিএলে কখনো শিরোপা জেতা হয়নি মিরাজের। তবে এবার খেলবেন ফরচুন বরিশালের মত শক্তিশালী দলের হয়ে। তাই বিপিএলে নিজের প্রথম শিরোপা জেতার ব্যাপারেও বেশ আশাবাদী মিরাজ।

সাকিবের নেতৃত্বে এবার বেশ শক্তিশালী দলই গঠন করেছে ফরচুন বরিশাল। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি দলে আছে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া এনামুল হক বিজয়, ফজলে রাব্বিরাও খেলবেন বরিশালের হয়ে। আর মেহেদী হাসান মিরাজ তো আছেনই ব্যাট বল হাতে জ্বলে উঠার জন্য।

বরিশালের বোলিং ডিপার্টমেন্টও সাজানো হয়েছে দেশের অন্যতম সেরা দুই পেসারকে নিয়ে। এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ থাকবেন দলটার পেস বোলিং আক্রমণে। ওদিকে এই দুজনের সাথে পেস আক্রমণে আছেন বরিশালের ঘরের ছেলে কামরুল ইসলাম রাব্বিও।

বিদেশি কোটায়ও বেশ বড় কিছু নাম দলে ভিড়িয়েছে ফরচুন বরিশাল। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রাকিম কর্নওয়াল খেলবেন সাকিবের নেতৃত্বে। এছাড়া পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদও এবার বিপিএল মাতাবেন বরিশালের হয়েই। আরেক পাকাস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে বরিশাল দলে নিয়েছে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে।

বরিশালের হয়ে অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বড় নাম ক্রিস গেইলেরও খেলার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আর বিপিএল খেলতে আসছেন না ক্যারিবীয়ান এই তারকা। তবুও তারকায় ঠাসা সাকিবের এই দল এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই লড়বে।

 

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link