অ্যান্ড্রিস গাউসের শুরুটা আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি কাপের ফ্রি স্টেট ক্রিকেট দলের হয়ে। তবে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের অন্যতম ভরসার নাম। ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন প্রয়োজনের সময়ে। দলকে একাই এনে দিতে চাইছেন অভাবনীয় জয়। তবে দিনশেষে আর তিনি হয়ে উঠতে পারছেন না নায়ক।
২০১৫ সালে আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে শুরু, আর ২০১৮ সালে সেই টুর্নামেন্টে জায়গা করেন নেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে। তারপর একে একে খেলতে থাকেন বিভিন্ন লিগে। নজর কাড়তে থাকেন সবার।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া গাউস সময় স্রোতে ভেসে ২০২১ সালে পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, করেছেন তিন বছরের চুক্তি। কিছু দিন পরেই যুক্ত্ররাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) জায়গা করে নেন তিনি। সেখানেও দেখাতে থাকেন তাঁর নৈপূণ্য। তিন বছর পর ২০২৪ এর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কানাডার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পদার্পন করেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আর অভিষেকের শুরুতেই পর পর দুইটি অর্ধশতকের দেখা পান তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরেও তাঁর পারফর্ম্যান্সের ঝলক চলমান। সুপার এইট পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে গাউসে দল। তবে এই ম্যাচে তার ব্যাটই ছিল সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল। গাউস ৪৭ বলে ১৭০.২১ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ৮০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। যেখানে ছিল ৫ চার আর ৫ ছক্কার মার।
একে একে দলের সব ব্যাটার প্যাভিলিয়নের দিকে ছুটলেও, তিনি ২২ গজে যেন ছিলেন স্থায়ীভাবেই। যদিও হারমিত সিং বেশ কিছু সময় সঙ্গ দিয়েছে, তবে তা যথেষ্ট ছিল না। গাউস দলের জন্য জয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করে গিয়েছেন ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭৬ রানেই থামতে হয় গাউসদের।
যুক্ত্ররাষ্ট্র সুপার এইটের পর্বে আগামীতে মুখোমুখী হবে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ম্যাচে যেন তাঁর ব্যাট ঝালাই করে নিলেন অ্যান্ড্রিস গাউস। প্রত্যাশা থাকবে, পরাজয়ের দুঃখ ভুলে আবারো জ্বলে উঠবেন প্রতিপক্ষের বোলারদের বিপক্ষে আর দলের জন্য ছিনিয়ে আনবেন কাঙ্ক্ষিত জয়।