সমালোচনার স্রোত পেরিয়ে শুভদিন

ভারতীয় ক্রিকেটের নেক্সট বিগ থিঙ ভাবা হয় শুভমান গিলকে; শচিন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলিদের যোগ্য উত্তরসূরি মনে করা হয় তাঁকে – অথচ সাম্প্রতিক ফর্ম ভাল যাচ্ছিলো না তাঁর, ফলে সমালোচনার তীব্রতা ক্রমাগত বেড়ে চলছিল। কিন্তু তিনি ফিরেছেন স্বরূপে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।

জেমস অ্যান্ডারসন, টম হার্টলিদের বিরুদ্ধে ১৪৭ বলে ১০৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন গিল। ১১টি চার আর দুই ছয়ে এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি, তাই তো অন্য ব্যাটারদের কেউ হাফসেঞ্চুরি না করা সত্ত্বেও ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে সমস্যা হয়নি ভারতের।

অধিনায়ক রোহিত শর্মা আর ইনফর্ম যশস্বী জয়সওয়ালকে এক রানের ব্যবধানে হারিয়ে যখন চাপে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া তখন দলের হাল ধরেছিলেন এই ব্যাটার। শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছিলেন তিনি, এরপর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন আরও ৮৯ রান।

শেষ পর্যন্ত শোয়েব বশিরের বলে উইকেটের কিপারে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় তাঁকে। ততক্ষণে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক পূর্ণ করেছিলেন তিনি, সেই সাথে স্বাগতিকদের লিড নিয়ে গিয়েছিলেন পাহাড়সম উচ্চতায়।

যদিও আগের ইনিংসে বড় রান করতে না পারায় কম সমালোচনা শুনতে হয়নি তাঁকে। ৪৬ বলে ৩৪ রান করেছিলেন এই তরুণ। যখনই মনে হয়েছিল সেট হয়েছেন তিনি, তখনি অ্যান্ডারসনের ষষ্ঠ স্ট্যাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন।

অবশ্য এই কিংবদন্তির বিপক্ষে সব সময়ই সংগ্রাম করতে হয়েছে তাঁকে। সাত বারের দেখায় পাঁচ বারই ইংলিশ পেসারের বলে আউট হয়েছেন এই ডানহাতি। এমনকি চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংসে একাধিকবার পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি।

এর আগে হায়দ্রাবাদ টেস্টেও ম্লান ছিল তাঁর ব্যাট। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২৩ ও ০ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন এই উদীয়মান তারকা। স্বাভাবিকভাবেই একাদশ থেকে বাদ দেয়ার দাবিও উঠেছিল গণমাধ্যমে। তবে ম্যানেজম্যান্ট ভরসা রেখেছিল তাঁর ওপর, সেই ভরসার প্রতিদান দারুণভাবেই দিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link