আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নিচ্ছেন বিশেষ প্রস্তুতি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কন্ডিশন বিবেচনায় পাওয়ারপ্লেতে বোলিংয়ের লক্ষ্য তাঁর।
আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপমহাদেশের দুই দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কাতে। উপমহাদেশের উইকেটগুলোতে বরাবরই সুবিধা পেয়ে আসছে স্পিনাররা। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় অজি তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘উপমহাদেশের উইকেটগুলোতে ইনিংসের শুরুতেই স্পিনাররা শুধু রান রুখে দেওয়ার কাজ করে না, বরং দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে নতুন বল, শক্ত সিমে শুষ্ক পিচে গ্রিপ করানো কষ্টকর, সেটি ভবিষতের পরিকল্পনায় আমরা বিবেচনায় রেখেছি।’
অস্ট্রেলিয়ানরা ইচ্ছে শক্তির দিক থেকে সবসময় এক ধাপ এগিয়ে থাকে। তাঁরা যেকোন কন্ডিশনে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে। সেখান থেকে ফলাফলও বের করে আনতে জানে অজিরা। তাই উপমহাদেশের কন্ডিশনে নিজের সেরাটা দিতে ম্যাক্সওয়েল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিজেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করছেন।
পাওয়ারপ্লেতে বোলিংয়ের শুরুটা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও তা চালিয়ে যান। ইনিংসের শুরুতে আইপিএলেও বেশ কার্যকর তিনি। তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪৯ উইকেটের মধ্যে ১৭ টি এসেছে পাওয়ারপ্লেতে। ইকোনমিও বেশ ভালো অবস্থানে।
ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আমি যখন উইকেট পাই তখন অন্যদের মতোই বেশ অবাক হই। আমি উইকেট পেতে ভালোবাসি। যখনই আমি কাউকে আউট করি তখন এটা খুবই অবাক করার মতো। আমি পাওয়ারপ্লেতে একটি কাজ করার জন্য সেখানে আছি এবং তা যতটা সম্ভব কার্যকর করার চেষ্টা করেছি।’
দলের জন্য প্রয়োজন অনুসারে নিজের সবটা বিলিয়ে দিচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল। ট্রাভিস হেডের অনুপস্থিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে করেছেন ওপেনিং, সেখানেও দেখিয়েছেন নিজেন ঝলক। আবার দলের প্রয়োজনে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দায়িত্ব পালন করছেন ফিনিশিংয়ের।
ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আমার ব্যাটিং অর্ডার প্রায়শই পরিবর্তন করা হয় কখনো টপ অর্ডার বা কখনো ফিনিশারের ভূমিকায়। দলের দরকারে আমি যেকোনা ভূমিকায় পালন করার চেষ্টা করছি এবং যতটা সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
