আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে উড়িয়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ; তবে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি তাঁরা। একেবারে দলগত পারফরম্যান্সের কল্যাণে জয় তুলে নিয়েছে শুভমান গিলের দল। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই আধিপত্য দেখিয়ে হায়দ্রাবাদকে সাত উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
তবু আলাদা করে বলতে হয় মোহিত শর্মা, সাই সুদর্শনের কথা। বল হাতে মোহিত ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল, তিন উইকেট তুলে নিয়ে তিনিই নাগালের মধ্যে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষকে। অন্যদিকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের সমীকরণ সহজ করে দিয়েছেন সুদর্শন। এছাড়া ডেভিড মিলার, ঋদ্ধিমান সাহা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
আগে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই ব্যর্থ হয়েছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ইনফর্ম ট্রাভিস হেড আর অভিষেক শর্মা আরো একবার চেয়েছেন দলকে ভাল শুরু এনে দিতে। তবে এদিন আর সফল হননি; যথাক্রমে ১৯ ও ২৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তাঁরা। সেট হয়ে উইকেট দিয়ে আসার ভুল এড়াতে পারেননি এইডেন মার্করামও, তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান।
হেনরিখ ক্লাসেন অবশ্য আশা দেখিয়েছিলেন, তবে ১৩ বলে ২২ রান করে থামতে হয় তাঁকে। ১১৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলকে শেষপর্যন্ত টেনে নিয়েছেন আবদুল সামাদ, শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গী করে স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান যোগ করেছেন তিনি। তাঁর ২৯ রানে ভর করে নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৬২ রান করতে সক্ষম হয় প্যাট কামিন্সের দল।
মাঝারি মানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা। আউট হওয়ার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৩ বলে ২৫ রানের ক্যামিও। অধিনায়ক শুভমান গিল এরপর আর দলকে পথ হারাতে দেননি, ধৈর্যশীল ৩৬ রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে জয়ের পথ চিনিয়ে দিয়েছেন।
তবু খানিকটা সম্ভাবনা টিকে ছিল সফরকারীদের, তবে সেই সম্ভাবনাকে বাড়তে দেননি সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দু’জনে করেছেন ৬৪ রান। তাই তো ৪৫ রান করে যখন সুদর্শন সাজঘরে ফিরে যান ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল।
তরুণ এই ব্যাটার আউট হলেও শেষপর্যন্ত ২৭ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মিলার। বিজয় শঙ্করকে সঙ্গে নিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তিনি।