হাতুরুসিংহের বেতন কত?

কথায় আছে শখের তোলা আশি টাকা। সেই শখ পূরণ করতে কিংবা চান্দিকা হাতুরুসিংহের কাছে জাদুর কাঠি আছে ভেবেই কিনা অপেশাদারিত্বের চূড়ান্ত নজির স্থাপন করে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এই লংকান কোচকেই আগের চেয়ে আরো বেশি পারিশ্রমিকে আবার ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুধু তাই নয়, নিজের রেকর্ডই ভেঙে হাতুরু এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া কোচ।

২০১৫-২০১৭ সময়কালে বাংলাদেশ তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছে সন্দেহ নেই। সেই সেরা সময় উপহার দেয়া কোচ হাতুরুসিংহের কোচ হিসেবে যোগ্যতা বা কাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি কখনো। বাংলাদেশ দলের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাকে মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান মনে করেন। কিন্তু সমস্যাটা ছিল কাজ করার পদ্ধতি নিয়ে।

চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশকে বিদায় বলেন তিনি। এমন কি তাঁর সর্বশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের রিপোর্টও বিসিবিকে দেননি হাতুরু। ধরেননি সংশ্লিষ্ট কারো ফোন।

এমন তেতো বিদায় যার হয়েছে তাকে আবার দেশের ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনাটা অনেকটাই চমক বলতে হবে। তবে সেই চমকটাও উপহার দিয়েছে বিসিবি। দলের জন্য প্রয়োজনীয় কড়া হেডমাস্টার সেই হাতুরুসিংহের হাতেই তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দায়িত্ব। বোর্ড সভাপতি বারবারই বলেছেন, সিনিয়রদের সাথে আলাপ করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এই কোচকে।

শুধু কি তাই! আগের চেয়েও আরো বেশি পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে লংকান এই কোচকে। পূর্বের মেয়াদে মাস প্রতি ২৫ হাজার ৮০০ ডলার আয় করতেন হাথুরু যা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ডলারে।

নতুন এই চুক্তিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া কোচ এখন হাতুরুসিংহে। বাংলাদেশী মুদ্রায় মাস প্রতি হাথুরুর আয় হবে ৩৭ লক্ষ ৯২ হাজার ১৯০ টাকা। সেই সাথে প্রতি বছর চার বার বিসিবির খরচে ছুটি কাটাবেন হাথুরু। আগের বারের চেয়ে শুধুমাত্র মাত্র অর্থের দিক থেকেই নয়, ক্ষমতার দিক থেকেও প্রবল দাপট নিয়েই ফিরছেন তিনি। দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগও থাকছে এবার।

হাথুরুর পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া কোচ ছিলেন ইংলিশ স্টিভ রোডস। মাসিক ২২ হাজার ডলারে বাংলাদেশে কাজ করতেন রোডস। অন্যদিকে, সদ্য বিদায়ী হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর আয় ছিল মাসিক ১৫ হাজার ডলার। যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ডলার।

হাথুরু বাংলাদেশ ক্রিকেটে সফল হবেন না ব্যর্থ তা সময়ই বলে দেবে। তবে হাতুরুসিংহেকে পেতে বিসিবি যে উদগ্রীব মনোভাব দেখিয়েছে তা ছিল মোটামুটি বিস্ময়কর। বিশাল অংকের পারিশ্রমিক দিয়ে হাথুরুকে এনে দল সাফল্য না পেলে নিশ্চই ক্রিকেট ভক্তদের কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link