হারের হ্যাটট্রিক কুমিল্লার!

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর ফরচুন বরিশাল- আগের বারের দুই ফাইনালিস্ট দল। দুই দলেরই এবারের বিপিএল শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। তবে বরিশাল যেমন পরের দুই ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে , ঠিক তেমনটা পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে হয়েছে ইমরুল কায়েসের দলকে। তবে সে বৃত্ত থেকে সহসায় বের হতে পারছে না কুমিল্লা। ঢাকা পর্বের ব্যর্থতার পর এবার চট্টগ্রামে এসে বরিশালের কাছে তারা হেরেছে ১২ রানে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর ফরচুন বরিশাল – আগের বারের দুই ফাইনালিস্ট দল। দুই দলেরই এবারের বিপিএল শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। তবে বরিশাল যেমন পরের তিন ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে , ঠিক তেমনটা পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে হয়েছে ইমরুল কায়েসের দলকে। তবে সে বৃত্ত থেকে সহসাই বের হতে পারছে না কুমিল্লা। ঢাকা পর্বের ব্যর্থতার পর এবার চট্টগ্রামে এসে বরিশালের কাছে তারা হেরেছে ১২ রানে।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর রানার্সআপ দলের মধ্যকার এ ম্যাচের লড়াইটাও হয়েছে জমপেশ। প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। আগের ম্যাচের মতই এ দিনেও বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন এনামুল হক বিজয় আর মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু উদ্বোধনী এ জুটির দুজনই হয়েছেন ব্যর্থ। আগের ম্যাচের মত উড়ন্ত শুরু এনে দিতে পারেননি মিরাজও।

তবে ম্যাচের পুরো আলো কেড়ে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। চারে ব্যাট করতে এসেই প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয়েছেন। ৮ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেছেন ৪৫ বলে ৮১ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। আর ঐ ইনিংসের সুবাদেই বরিশালও পায় ১৭৭ রানের সংগ্রহ। সাকিবের ব্যাটিং তোপের দিনে বলার মত বোলিং করেছেন কুমিল্লার বাঁ-হাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

কুমিল্লার ব্যাটিং লাইন আপকে শক্ত করার জন্য হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে আনা হয়েছিল পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। তবে বরিশালের দেওয়া ১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তিনি এ দিন হতাশই করেছেন। দুটি ছক্কা মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন।

তবে ইনিংসটা আর বড় করতে পারেননি। থেমেছেন ১৮ রানে। অপর ওপেনার লিটন দাসও তাঁর ইনিংসকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। রান আউট দুর্ভাগ্যের কাটা পড়ে ফিরেছেন ৩২ রানে। দলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস লক্ষ্যের পথে ছুঁটেছিলেন বটে। তবে তিনিও ছোট ইনিংস খেলেই কাটা পড়েন স্লগ করতে গিয়ে, ক্যাচ দিয়ে।

কুমিল্লার একমাত্র আশা ভরসা হয়ে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন খুশদিল শাহ। ২৭ বলে খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। করেন ১৯ বলে ২৭ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৭৮ রানের লক্ষ্য আর পাড়ি দেওয়া হয়নি। কুমিল্লার ইনিংস শেষ হয়েছে লক্ষ্য থেকে ১২ রান দূরে থেকে। বরিশালের বিপক্ষে ১২ রানের এ হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকতে হচ্ছে কুমিল্লাকে। আর ৪ ম্যাচের ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে সাকিবের বরিশাল।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, দল গড়তেও কার্পণ্য করেনি কুমিল্লা। দলে আছে নামি কোচ, দামি খেলোয়াড়। তবুও কিসের অভাব? কেন পারছে না কুমিল্লা? প্রশ্ন করাই যায়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...