বিশ্ব ক্রিকেটের জমজমাট আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) – যেখানে রঙিন আলো, ক্যামেরা ফ্ল্যাশ আর গ্যালারিভর্তি শোরগোলের মধ্যে চোখ থাকে বড় তারকাদের দিকেই। তবে তারকাদের ভিড়েও অনেক নায়ক থাকে যারা দলে অবদান রাখেন আড়াল থেকেই। ২০২৫ আসরেও আছেন পাঁচজন পার্শ্বচরিত্র, যারা আসেননি শিরোনামের পাতায়।
- ট্রিস্টান স্টাবস
দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ট্রিস্টান স্টাবস ছিলেন মিডল অর্ডারের নির্ভরতার নাম।
১৪ ম্যাচে করেছেন ৩০০ রান, গড় ৫০, স্ট্রাইক রেট ১৫০.৭৫ – এই সংখ্যাগুলোই বলে দিচ্ছে তার ধারাবাহিকতা। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে, স্টাবস দলকে টেনে তুলেছেন একা হাতে।
- অঙ্কৃষ রঘুবংশী
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে পাওয়ারপ্লেতে বিস্ফোরক সব ইনিংস খেলেছেন। ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের বোলারদের রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছেন। পাওয়ারপ্লেতে তার স্ট্রাইক রেট ১৭৬.৭০ প্রমাণ করে সে কথা। ১২ ম্যাচে করেছেন ৩০০ রান, ব্যাটিং গড় ছিল ৩৩.৩৩। নারিন, রাসেলদের ভিড়ে এই তরুণ যেন নিঃশব্দে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন।
- নেহাল ওয়াধেরা
নেহাল ওয়াধেরা, নামটা খুব একটা আলোচিত নয়। কিন্তু পাঞ্জাব কিংসের ইনিংসের শেষ ভাগে দাঁড়িয়ে ম্যাচের গতি বদলে দিয়েছেন। ১৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৬৯ রান। ডেথ ওভারে স্ট্রাইক রেট ১৮৮.২০, আসর জুড়ে হাঁকিয়েছেন ২০টি ছক্কা। শুধু পাওয়ার হিটিং নয়, ম্যাচ রিড করে খেলার দক্ষতাও ছিল তাঁর মধ্যে।
- আয়ুশ বাদোনি
আয়ুশ বাদোনি ছিলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের সবচেয়ে ধারাবাহিক ভারতীয় ব্যাটার। ১৪ ম্যাচে করেছেন ৩২৯ রান, ব্যাটিং গড় ৩০, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৮.১৯। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে ছিলেন দলের ভরসা, ছিলেন লখনৌ-য়ের কার্যকর এক অস্ত্র।
- নমন ধীর
রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার, হার্দিক পান্ডিয়া– তারকায় ঠাসা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই দলে ছিল নমন ধীরের নাম। ১৬ ম্যাচে করেছেন ২৫২ রান। শেষের দিকে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯১.৪০। খেলেছেন বেশ কিছু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংস। প্রমাণ করেছেন নিজের ফিনিশিং দক্ষতা।
আইপিএলে প্রতিবছরই এমন পার্শ্বচরিত্রদের সামনে নিয়ে আসে। যারা দলের জন্য খেলেন, নীরবে সবটা নিংড়ে দেন। প্রমাণ করে দেন, আলোচনায় থাকতে শিরোনাম হওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু কাজটা করে যেতে হয়।