আকালের ইউনাইটেডেও যারা টাকার পাহাড়ে বাস করেন

মাঠে তাদের পারফরমেন্স যেমনই হোক না কেনো অর্থনৈতিক ভাবে তারা বেশ সচ্ছলই রয়েছে। তাই তারা বেশ চড়া দামে খেলোয়াড় কিনতে পারছেন। শুধু চড়া দামে প্লেয়ার কেনাই নয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের খেলোয়াড়দেরকে চড়া বেতনও দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থাকলেও মোটা অংকের খরচের দিক থেকে কিন্তু পিছিয়ে নেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এক গাদা টাকা খরচ করে দল গঠন করেছে ঠিকই তবে মাঠে আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছে না তারা। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর ক্লাবটি এখন পর্যন্ত লিগ শিরোপা জিততে পারেনি।

তবে মাঠে তাদের পারফরমেন্স যেমনই হোক না কেনো অর্থনৈতিকভাবে তারা বেশ সচ্ছলই রয়েছে। তাই তারা বেশ চড়া দামে খেলোয়াড় কিনতে পারছেন। শুধু চড়া দামে খেলোয়াড় কেনাই নয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের খেলোয়াড়দেরকে চড়া বেতনও দিয়ে যাচ্ছেন।

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বাধিক বেতনভুক্ত খেলোয়াড় কারা।

  • কাসেমিরো ( ১৮.২ মিলিয়ন পাউন্ড)

২০২২ সালের আগস্ট মাসে কাসেমিরো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেন। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়। বছরে ১৮.২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি ইউনাইটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ইউনাইটেডের হয়ে তিনি মোট ৬৬ ম্যাচ খেলে ৬টি গোল করেছেন। তিনি রেড ডেভিলদের হয়ে একটি এফএ কাপ এবং একটি লিগ কাপ জিতেছেন।

  • ব্রুনো ফার্নান্দেজ (১৫.৬ মিলিয়ন পাউন্ড)

ব্রুনো ফার্নান্দেজ ২০২০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেন। তিনি ইউনাইটেডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়। বছরে ১৫.৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি ইউনাইটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তিনি ইউনাইটেডের হয়ে মোট ১৭৭ ম্যাচ খেলে ৫৮টি গোল করেছেন। তিনিও ইউনাইটেডের হয়ে একটি এফএ কাপ এবং একটি লিগ কাপ জিতেছেন।

  • মার্কাস রাশফোর্ড (১৫.৬ মিলিয়ন পাউন্ড)

মার্কাস রাশফোর্ডও ব্রুনো ফার্নান্দেজের মতো একই সংখ্যক বেতন পাচ্ছেন। তিনিও ১৫.৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ইউনাইটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। মার্কাস রাশফোর্ড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমিতেই হাতেখড়ি নিয়েছেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মূল দলের হয়ে অভিষেক করেন। তিনি ইউনাইটেডের হয়ে ২৮৭ ম্যাচে খেলে ৮৭টি গোল করেছেন। তিনি ইউনাইটেডের হয়ে দুইটি এফএ কাপ, দুইটি লিগ কাপ, একটি কমিউনিটি শিল্ড এবং একটি ইউরোপা লীগ জিতেছেন।

  • মেসন মাউন্ট (১৩ মিলিয়ন পাউন্ড)

মেসন মাউন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়। বছরে ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি ইউনাইটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি ইউনাইটেডে যোগদান করেন। তিনি রেড ডেভিলদের হয়ে মোট ২২টি ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেছেন। এই ব্রিটিশ মিডফিল্ডার ইউনাইটেডের হয়ে একটি এফএ কাপ জিতেছেন।

  • এন্টনি (১০.৪ মিলিয়ন পাউন্ড)

২০২২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ব্রাজিল তারকা এন্টনি যোগদান করেন। বছরে ১০.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তিনি ইউনাইটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তিনি ইউনাইটেড দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড়। তিনি ইউনাইটেডের হয়ে মোট ৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন এবং গোল করেছেন ৫টি। রেড ডেভিলদের হয়ে এই ব্রাজিলিয়ান একটি এফএ কাপ এবং একটি লিগ কাপ জিতেছেন।

সবশেষে বলা যায়, মাঠে প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলেও, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আর্থিক সামর্থ্য তাদের বড় খেলোয়াড়দের দলে ভিড়ানোর সক্ষমতা বজায় রেখেছে। এটি প্রমাণ করে যে ক্লাবের ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং গ্লোবাল ফ্যানবেস এখনও অত্যন্ত শক্তিশালী। তবে মাঠে ধারাবাহিক সাফল্য না পেলে এই অর্থনৈতিক সামর্থ্যও দীর্ঘমেয়াদে চাপে পড়তে পারে। তাই ক্লাবটির উচিত অর্থনৈতিক বিনিয়োগের পাশাপাশি শক্তিশালী কৌশল নির্ধারণ করে মাঠের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনা।

Share via
Copy link