৯৯-এর নান্নুই হচ্ছেন রিয়াদ!

নানান নাটকীয়তা পেরিয়ে শেষমেশ বিশ্বকাপের দল ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের সেই স্কোয়াডের পাশাপাশি ব্যাকআপ দুইজন ক্রিকেটারের নামও জানানো হবে আজকালের মধ্যে। সব ঠিক থাকলে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকবেন মূল স্কোয়াডেই।

এশিয়া কাপের দলে খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু সাত নম্বরে আফিফ, শামীমদের ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপ দলে নিজের জায়গা মোটামুটি পাকা করে নিয়েছেন তিনি।

মিডল অর্ডার বা লোয়ার মিডল অর্ডারে তেমন বড় কোন পারফর্মার না থাকায় রিয়াদের দলে থাকা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ছয়-সাত নম্বরে ইয়াসির আলী রাব্বি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহানকে একটা সময় ভাবা হলেও এখন তাঁরা কেউই পরিকল্পনায় নেই। আবার যাদের নিয়ে ভাবা হয়েছিল তাঁরাও সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করতে পারেননি।

এশিয়া কাপের দলে না থাকেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাই বিশ্বকাপ খেলবেন এমনটা বলাই যায়। বারবার ব্যাটিং ধ্বসের মুখোমুখি হওয়া বাংলাদেশের আস্থা এখন তাঁর উপর। ফলে অতীতের পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ এসেছে এই ডানহাতির সামনে।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না আকরাম খান; ক্যারিয়ারের শেষ ধরে নিয়েছিল অনেকে। তবে মাশরাফি মর্তুজার ইনজুরিতে ভাগ্য খুলে যায় তাঁর। বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ খেলে বলার মত কিছু করতে না পারলেও নির্বাচকদের পরিকল্পনায় জায়গা করে নিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান; ফলে তাঁর ক্যারিয়ার আরো কিছুটা দীর্ঘ হয়েছিল।

প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে আরেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ক্যারিয়ারেও। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগের এশিয়া কাপে দলে সুযোগ পাননি, কিন্তু এরপরই ভাগ্য চক্রে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। এরপর পুরো টুর্নামেন্টে যা করেছেন বর্তমানে নির্বাচক বনে যাওয়া নান্নু, সেটা ইতিহাস হয়েই রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।

এমন কিছু ঘটতে পারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জীবনেও। তবে সেজন্য দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে, ড্রেসিংরুমের পরিকল্পনা মাফিক ব্যাটিংটা তিনি করতে পারলে ভাল কিছু করাটা সহজ হবে টিম বাংলাদেশের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link