কি রহস্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে কানপুর? গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের উইকেট হবে কেমন? – এই প্রশ্ন দু’টি এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায় খুবই আলোচিত।
এক বাক্যে বলতে গেলে, কানপুরের উইকেট স্পিন সহায়ক। দুই দলেই বাড়তি স্পিনার থাকাটা প্রায় নিশ্চিত। পেস লড়াই এবার রূপ নিবে স্পিন লড়াইয়ে।
কানপুরের এই পিচ ফ্ল্যাট হবে। এটাতে বাউন্স কম থাকবে। কালো মাটির পিচ হবে এটা। প্রথম টেস্ট অর্থাৎ চেন্নাইতে বাউন্স অনেকটাই ছিল। এবার আর সেটা হচ্ছে না, কম বাউন্স থাকবে।
কানপুরের উইকেট ঐতিহ্যগত ভাবেই স্লো-টার্নার। টেস্ট যতটা এগোবে পিচ ততটাই স্লো হবে এবং বল ক্যারি করবে, ফলে এখানে ব্যাটারদের জন্য রান করা খুবই শক্ত হবে।
মানে, এটা যেন ভারতের মিরপুর স্টেডিয়াম। ঠিক শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পরিচিত উইকেটই পাবে বাংলাদেশ।
টেস্টের প্রথম দিনে বৃষ্টি হানা দিতে পারে। বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে ৯২ শতাংশ। দ্বিতীয় দিনে খুব একটা বেশি পরিবর্তন হবে না আবহাওয়ার। চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কমতে পারে।
বৃষ্টির এত শঙ্কার মাঝে ম্যাচ থেকে ফলাফল বের করার কাজটা পুরোটাই হবে বোলারদের। আরও স্পষ্ট করে বললে দু’দলের স্পিনারদের।
সাকিব আল হাসানকে নিয়ে শঙ্কা আছে। একাদশে তাইজুল ইসলাম আসবেন, আসতে পারেন নাঈম হাসানও। বাদ পড়বেন একজন পেসার। ভারতও একজন পেসার কম খেলিয়ে কুলদীপ যাদব বা অক্ষর প্যাটেলকে খেলাবে।
অক্ষর প্যাটেলের পাল্লাই ভারি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রবেশ করতে গেলে এই ম্যাচ জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ভারতের জন্য। যথারীতি এই ম্যাচেও তাঁরা বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলবে না!