দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারেরই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে। আছেন তাওহীদ হৃদয় কিংবা শামিম পাটোয়ারির মত বিশ্বকাপ খেলা তারকাও। তারপরও টি-টোয়েন্টির দিক্ষা নিতে হল তরুণ আফগান এ দলের কাছ থেকে।
পারভেজ হোসেন ইমনই যা একটু টপ অর্ডারে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালিয়েছিলেন। এর বাদে সাইফ হাসান কিংবা বা জিসান আলম তাঁর সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যাট করতে পারেননি। সেটা হলে অনায়াসে বাংলাদেশ এ দলের রান চলে যেতে পারত ১৮০ বা ১৯০-এ।
এমনকি ফিনিশিংয়ে তাওহীদ হৃদয় বা শামিম হোসেন পাটোয়ারিরও আরও হাত খুলে ব্যাট করার সুযোগ ছিল। আফগানিস্তানের বোলিংয়েও এমন কোনো বিষ ছিল না, তাই ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ এ দলের পক্ষে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের বেশি করা সম্ভব হয়নি।
জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রাখে। ব্যাটিং করে টি-টোয়েন্টির চাহিদামাফিক। ম্যাচ শেষে সেটার ফলও পায় তাঁরা।
একটা সময় পাঁচ উইকেট হাতে রেখে নয় বলে তাঁদের জয়ের জন্য দরকার ছিল নয় রান। সেই সময় ষষ্ঠ উইকেট হারালেও পথ হারায়নি তরুণ আফগান দল।
শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ছয় রান। সেখানে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন সাদিকুল্লাহ অটল। ৫৫ বলে ৯৫ রান করে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটারই আফগানদের জয়ের নায়ক। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং কিভাবে করতে হয় বাংলাদেশের সো কল্ড অভিজ্ঞ দলকে শিখিয়ে গেলেন তিনি।
কাঠগড়ায় তোলা যেতে পারে আবু হায়দার রনিকেও, শেষের দিকে রান হজমের মিছিলে নিজেকে না জড়ালে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। আর ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা একজন বোলার কেন তরুণ আফগানদের বিপক্ষে এভাবে ভুগবেন?