আর কত হারবেন খালেদ মাহমুদ সুজন?

২০১২ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী আসর থেকেই কোন না কোন দলের ডাগ আউটে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর মধ্যে কেবল ২০১৬ সালে ঢাকা ডায়নামাইটর্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি - বাদ বাকি প্রায় সব মৌসুমেই পূর্ণ করেছেন ব্যর্থতার ষোল কলা।

প্রসঙ্গ যদি হয় পরাজয়ের, খালেদ মাহমুদ সুজন তাহলে সবার সেরা – একবার হারতে শুরু করলে তাঁকে থামানোর সাধ্য বোধহয় ক্রিকেট বিধাতারও নেই। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে টানা পনেরো ম্যাচ হেরেছিলেন, টেস্টেও নয় ম্যাচ খেলে হেরেছেন সবকয়টি। আর এবার কোচ হিসেবে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন তিনি, হারলেন টানা পনেরো ম্যাচ!

অবিশ্বাস্য শোনালেও মিথ্যা ভাবার সুযোগ নেই। বিপিএলের নতুন ফ্রাঞ্চাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন এই সাবেক ক্রিকেটার। তবে নবাগত দলটাকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেয়ার পরিবর্তে টানা চার ম্যাচে হারের লজ্জা উপহার দিলেন তিনি।

কিন্তু পনেরো ম্যাচের হিসেব আসলো কিভাবে? উত্তরটা জানতে হলে ফিরে যাবে এক বছর আগের সময়টাতে। ঠিক এখনকার মতই আরেকটা অভিষিক্ত ফ্রাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হয়েছিলেন সুজন। দলটা প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিল ঠিকই কিন্তু পরের এগারো ম্যাচের সবকয়টিতে হেরে হতবাক করে দেয়  ক্রিকেটপ্রেমীদের।

মাঠের দ্বৈরথ থেকে বিদায় নেয়ার পর থেকে ক্রিকেট কর্তা হিসেবেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন তিনি। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি, হাই-পারফরম্যান্স কমিটিতে ছিলেন তিনি, ব্যবস্থাপকও হয়েছিলেন; আবার টিম ম্যানেজার, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর। এমনকি জাতীয় দলের আপদ-কালীন কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

তবে এত ব্যস্ততার মাঝেও ঘরোয়া ক্রিকেটে সাবেক এই অলরাউন্ডার নিয়মিত হেড কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১২ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী আসর থেকেই কোন না কোন দলের ডাগ আউটে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর মধ্যে কেবল ২০১৬ সালে ঢাকা ডায়নামাইটর্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি – বাদ বাকি প্রায় সব মৌসুমেই পূর্ণ করেছেন ব্যর্থতার ষোল কলা।

খালেদ মাহমুদ সুজনের ব্যর্থতার দৌড় তাহলে কবে শেষ, নাকি আদৌ শেষ হবে না কখনো? বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্য মনে হচ্ছে না খুব দ্রুত হাতি-ঘোড়া করে ফেলতে পারবেন তিনি। যদিও আর কিছু না হোক, একটা জয় নিয়ে অন্তত চলমান হারের ধারা ভাঙ্গতে খুব করে চাইছেন তিনি।

Share via
Copy link