২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। গুঞ্জন ছিল টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে মত না মেলাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেই গুঞ্জনের উত্তাপ আরো বেড়েছিল যখন এই তারকা জানান যে তিনি ওয়ানডে আর টেস্টে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলেন।
সে সময় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর সভাপতি ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। ফলে বিরাটের ক্যাপ্টেন্সি ইস্যুর ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমে শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। দাবি করা হয় যে, গাঙ্গুলির কারণেই কোহলিকে দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে।
তবে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘অফসাইড কিং’ খ্যাত এই কিংবদন্তি ব্যাটার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। অধিনায়কের পরিবর্তনে তাঁর হাত নেই এমনটা জানান তিনি। এমনকি কোহলিকে টি-টোয়েন্টিতেও অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
এই বাঁ-হাতি বলেন, ‘আমি ক্যাপ্টেন্সি থেকে বিরাটকে সরিয়ে দিইনি। এটা অনেক বার বলেছি। সে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী ছিল না। তাই তাঁকে বলেছিলাম, যদি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী না হয় তাহলে সাদা বলের দুই ফরম্যাট থেকেই পদত্যাগ করা দলের জন্য আরও ভাল। সাদা এবং লাল বল দুজন ভিন্ন অধিনায়ক করা হোক।’
আবার রোহিত শর্মা তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব নিতে চায়নি। কিন্তু তাঁকে রাজি করিয়ে অধিনায়ক বানানো হয়েছে এমনটা উল্লেখ করে কলকাতার প্রিন্স বলেন, ‘রোহিত শর্মাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়ার কিছুটা বোঝাতে হয়েছিল কারণ সে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হতে আগ্রহী ছিল না।’
তাঁকে বোঝানোর ক্ষেত্রে আমার কিছুটা অবদান রয়েছে; ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করার জন্য আমাকে বিসিসিআই-এর সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছিলাম।’