প্রায় ৩০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেন ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা কিভাবে খেলতে হয়। তাঁর ছয় বলের ইনিংসটা নাইম শেখ কিংবা আফিফ হোসেনদের ভুল অ্যাপ্রোচ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
বিপিএল মানে যতটা সাকিব আল হাসান কিংবা তামিম ইকবাল, ঠিক ততটাই ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানে হয়তো খুব উজ্জ্বল নন তিনি, তবে দলীয় সাফল্যে তাঁর অবস্থান ওপরের দিকে। কিন্তু গত আসর থেকেই ছন্দপতনের সুর শোনা গিয়েছিল, আর এবার তো বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচ।
তবে অপেক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে, অবশেষে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি। যদিও ওপেনার কিংবা টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে নয়, বরং লোয়ার মিডল অর্ডার সামলাতে দলে নেয়া হয় তাঁকে। এদিন তাই ছয় নম্বরে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
প্রত্যাবর্তন রাঙাতে অবশ্য ব্যর্থ এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, শিরোনাম দখলে নেয়ার মত কিছু করতে পারেননি। তবে চেষ্টার কমতি রেখেছেন তিনি, এমনটা বলার কোন সুযোগ নেই। উইকেটে নেমে দ্বিতীয় বলে ডিপ এক্সট্রা কভার অঞ্চল দিয়ে চার হাঁকান তিনি, এর এক বল পরেই লং অন এবং ডিপ মিড উইকেট দিয়ে আদায় করে নেন দুইটা ছক্কা।
ভাল শুরু পেয়েও ক্যারি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই টাইগার ব্যাটার। সেই সাথে আক্ষেপ আছে নিজেকে নিয়েও; জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট কোথাও কখনো সামর্থ্য অনুযায়ী মূল্যায়ন পেলেন না তিনি।
একেবারে দেশসেরা ব্যাটার হয়তো নন ইমরুল, কিন্তু বিপিএলে একটা ফ্রাঞ্চাইজির টপ অর্ডার সামলানোর যোগ্য তাঁর আছে। পুরনো রেকর্ড বিবেচনা করে হলেও তাঁকে বিশ্বাস করতে পারতো টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোন সদস্য মনে করা তো দূরে থাক, খুলনা টাইগার্স তাঁকে একাদশেই রাখেনি এতদিন। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয় কি না সেটাই দেখার বিষয়।