হামজা চৌধুরিকে ট্যাকেল দিতে, অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে ভারত। রায়ান উইলিয়ামসকে ২৩ সদস্যের দলে অন্তর্ভুক্ত করে ঢাকায় পৌঁছাবে টিম ইন্ডিয়া। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে কে এই রায়ান উইলিয়ামস?
রায়ান উইলিয়ামসের জন্ম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। জন্মসূত্রে তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলে বয়সভিত্তিক দলে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এমনকি তার ইংল্যান্ড ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ফুলহাম এবং পোর্টসমাউথে হয়ে খেলেছেন তিনি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলে।
এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসছে মাথায়, একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক কি করে খেলবেন ভারত দলে। তাছাড়া ভারতে তো দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন নেই। তাহলে উইলিয়ামসকে দলে নেওয়া হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুবই সহজ। প্রথমত রায়ান উইলিয়ামস ইতোমধ্যে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে গেছেন।

ভারত ফুটবলের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী তাকে আড়ম্বরের সাথে বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এজন্য রায়ান তার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। ফিফা আইনে অবশ্য সেক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধি-বিধান রয়েছে। তবে ভারতের হয়ে খেলার জন্য রায়ানের অন্যতম প্রভাবক তার মা।
রায়ান উইলিয়ামসের মা জন্মেছিলেন ভারতের মুম্বাই শহরে। তার বাবা আবার জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের নাগরিক। মায়ের সূত্র ধরেই তিনি ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও এখন অবধি ফিফা ও অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন থেকে অনাপত্তিপত্র এসে পৌঁছায়নি। ভারতের হয়ে খেলার ক্ষেত্রে শেষ প্রতিবন্ধকতা এই অনাপত্তিপত্র।
তবে এক্ষেত্রে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কারণ অবশ্য ভারতের নেই। কেননা ৩২ বছর বয়সী একজন ফুটবলারের জন্য অস্ট্রেলিয়ার আপত্তি জানানোর বিশেষ কোন কারণ নেই। তাছাড়া, রায়ান অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুটবল দলেও খেলেননি। অতএব তাকে আটকে রাখার বিশেষ প্রয়োজনও নেই। ফিফার শেষ মুহূর্তের পর্যালোচনা চলমান। ভারত আশাবাদী বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই, প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন রায়ান উইলিয়ামস।

তবে রায়ান কাঙ্ক্ষিত ছাড়পত্র পেয়ে গেলে তা বাংলাদেশের জন্য হতে পারে ভীষণ দুশ্চিন্তার কারণ। বাংলাদেশের রক্ষণের খেই হারানো স্বভাব বিন্দুমাত্র বদলায়নি। আর তেমন পরিস্থিতিতে বেশ ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন রায়ান উইলিয়ামস। এখন দেখার বিষয়, রায়ানের ভারতের বিপক্ষে কোন পরিকল্পনার ছক সাজান বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।











