এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের খানিকটা ক্ষতিই হয়েছে বটে। কেননা এবারের টুর্নামেন্ট তারা খেলছে একটি ভেন্যুতে। দুবাইয়ের উইকেট ততটাও ব্যাটিং সহায়ক নয়। পাকিস্তানের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ভারতীয় ব্যাটাররা হতে পারতেন আরও দুর্ধর্ষ। কিন্তু তবুও ভারতকে সইতে হচ্ছে সমালোচনা।
ভূ-রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ভারত। আর তাই তাদের জন্যে বরাদ্দ হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবগুলো ম্যাচই সেখানে খেলেছে ও খেলবে ভারত।
তাতে করে সারাবিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে একটি বার্তা- বাকিদের তুলনায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত। কিন্তু ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা মনে করেন, দুবাইয়ে খেলে ভারতেরই ক্ষতি হয়েছে। তার ভাষ্যমতে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটারদের সত্যিকারে আগ্রাসনটা দেখা যায়নি আরব আমিরাতের উইকেটে। পাকিস্তানের উইকেটে তারা নিজেদের আগ্রাসনের ঝুলি খুলে বসতে পারতেন।
উথাপ্পা বলেন, ‘ভারত অভিযোগ করতে পারত যে, যদি তারা সমতল পাকিস্তানি পিচে খেলত, তাহলে তাদের রেকর্ড আরও ভালো হতে পারত। প্রতিটি ব্যাটসম্যানেরই (বেশি করে) রান করার সুযোগ থাকত।’ পাকিস্তানের উইকেটে রান উৎসব দেখা গেছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। কিন্তু ভিন্ন চিত্র ছিল দুবাইয়ে। সেখানে রান করতে ভীষণ বেগ পোহাতে হয়েছে প্রায় প্রতিটা ব্যাটারকেই।
উথাপ্পার মতে ভারতকে সমালোচনার করবার কিছু নেই। ক্রিকেট ময়দানে নির্দিষ্ট দিনে যে ভাল খেলে সেই জয় পায়। ভারত ভাল খেলেই জয় তুলে নিয়েছে নিজেদের প্রতিটি ম্যাচে। তিন্নি বলেন, ‘আপনি যা খুশি বলতে পারেন, কিন্তু দিন শেষে ক্রিকেট ব্যাট ও বলের লড়াই, এবং যে দল নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলে, তারাই জেতে। আর যারা অভিযোগ করে, তাদের মানসিক অবস্থার ধারণা আপনি সহজেই পেতে পারেন।’
দুবাইয়ের মন্থর উইকেটে ব্যাটিং করেও শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি একটি করে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তাতেই অন্তত উথাপ্পার মন্তব্য যুক্তিসংগত মনে হবে। সুবিধা নয়, বরং দুবাইয়ে খেলে ক্ষতিই হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।