প্রত্যাশিত বড় জয়ে বিশ্বজয়ের বার্তা ভারতের

তুলনামূলক খর্বশক্তির আফগানিস্তানের বিপক্ষে ‘নিখুঁত পারফরম্যান্স’ প্রদর্শনের লক্ষ্য ছিল ভারতের – সেই লক্ষ্যে সফলই বলা যায় তাঁদের। পুরোপুরি নিঁখুত না হলেও যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন রোহিত শর্মারা, তাতে উৎসব লেগে গিয়েছ ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে।

টসে জিতে এদিন আগে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। দুই ওপেনার শুরুটা ভাল করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, তিন নম্বরে খেলা রহমত শাহ অবশ্য ব্যর্থ হয়েছেন পুরো দমে। ৬৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন খানিকটা চাপে পড়ে গিয়েছিল দলটি; তবে ব্যাটিং অর্ডার বদলিয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে পাঠাতেই বদলে যায় চিত্রপট।

অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে এই তরুণ গড়েন ১২১ রানের জুটি, সেই সাথে পেয়ে যান বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি। ৬২ রান করে এরপর তিনি বিদায় নিলেও মোহাম্মদ নবী আর হাসমতউল্লাহ শহীদির ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে এগুতে থাকে আফগানরা।

 

কিন্তু ৮০ রানের মাথায় শহিদী ফিরে যাওয়ার পর ছন্দপতন ঘটে তাঁদের; পরপর আউট হন দুই অভিজ্ঞ তারকা নবী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান। যদিও শেষদিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা ঠিকই করেছেন রশিদ খান, মুজিবুর রহমানরা। শেষপর্যন্ত ২৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আফগানিস্তানে; বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এর চেয়ে বেশি রান আগে করতে পারেনি তাঁরা।

আদতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর, কিন্তু আফগানিস্তান কোন রূপ চ্যালেঞ্জ জুড়ে দিতে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটারদের দিকে। ওপেনিং পার্টনারশিপেই রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষাণ জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন, বিশেষ করে রোহিত ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে।

পাওয়ার প্লে’র দশ ওভারে ৯৪ রান তোলে ভারত, যেখানে অধিনায়কের অবদান ৪৩ বলে ৭৬ রান। এরপর রানের গতি কিছুটা কমে এলেও আফগান বোলাররা কোন সুযোগই পায়নি চাপ সৃষ্টি করার৷ কোন উইকেট হারিয়েই ১৫০ রান পেরিয়ে যায় ভারত, সেই সাথে তিন অঙ্কের ঘরে ঢুকে যান রোহিত।

 

অবশ্য খানিকটা আক্ষেপ জাগিয়ে তারপরই আউট হয়ে যান ঈশান, ৪৭ রান করে ফিরতে হয় তাঁকে। যদিও সেজন্য জয় নিয়ে সংশয় জাগেনি; রোহিতের ব্যাটে ভর করে দ্রুত তীরের এগিয়ে যায় ভারতের তরী। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেন বিরাট কোহলি; ম্যাচের শেষ দিকে ১৩১ রানের মাথায় রোহিত আউট হলেও বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন শ্রেয়াস এবং কোহলি।

পনের ওভার বাকি থাকতেই আট উইকেটের বিশাল জয় – প্রত্যাশিত ফলাফলই বলা যায়। আর এমন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী হয়েই নামবে রোহিত বাহিনী সেটা বলাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link