বিমানযাত্রার ধকল সবচেয়ে বেশি ভারতের, চারে বাংলাদেশ

সুবিশাল ভূমি, ডজনখানেক আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে সেখানে - এমন একটা দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা মানেই পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ছুটে বেড়ানো।

সুবিশাল ভূমি, ডজন খানেক আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে সেখানে – এমন একটা দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা মানেই পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ছুটে বেড়ানো। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের অবস্থাও একেবারে এমন, ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সবাইকে ভ্রমণ করতে হচ্ছে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ।

  • আফগানিস্তান – ৫৩১১ কিমি

আফগানিস্তানকে বিশ্বকাপের লিগ পর্বে সবচেয়ে কম ভ্রমণ করতে হবে। মূলত একই ভেন্যুতে দুই ম্যাচ করে খেলার সুযোগ দুইবার পাচ্ছে তাঁরা। প্রথমে ভারত এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ দিল্লিতে খেলবে তাঁরা, এরপর আবার নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে চিন্নাস্বামীতে খেলবে দলটি। তবে ওয়ার্ম-আপ পর্ব হিসেব করা হলে তাঁদের ভ্রমণ দূরত্ব ৯৪৫৬ কিলোমিটার হবে।

  • নিউজিল্যান্ড – ৫৮২৬ কিমি

অন্যান্য দলের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের ভ্রমণের সময়সূচী তুলনামূলকভাবে সহজ। তারা চেন্নাই, ধর্মশালা এবং বেঙ্গালুরুর একই ভেন্যুতে পরপর তিনটি ম্যাচ খেলবে। আফগানিস্তানের মতো, তাঁদের যাতায়াত অনেকটা বৃদ্ধি পায় যদি গা গরমের ম্যাচগুলো বিবেচনা করা হয় – সেক্ষেত্রে এটি ৮৪৮৮ কিলোমিটার হবে।

  • পাকিস্তান – ৬৮৮০ কিমি

রাজনৈতিক জটিলতায় পাকিস্তানের সময়সূচী সবচেয়ে ব্যতিক্রমী হয়েছে, খুব বেশি স্টেডিয়ামে তাঁদের ম্যাচ রাখা হয়নি। বাবর আজমের দল কেবল হায়দ্রাবাদেই চারটি ম্যাচ খেলবে, যার মধ্যে অবশ্য দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ। এজন্যই দলটির সর্বমোট ভ্রমণ দূরত্ব ৭০০০ কিলোমিটারেরও কম।

  • অস্ট্রেলিয়া – ৬৯১৫ কিমি

যদিও অস্ট্রেলিয়া শুধুমাত্র একটি ভেন্যুতে দুইবার খেলবে, তাঁদের সামগ্রিক ভ্রমণ দূরত্ব অন্য অনেক দলের চেয়ে কম হবে। কেননা পরপর দুই ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে তাঁদের ভেন্যুগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব তুলনামূলক কম। তাঁরা দিল্লি থেকে ধর্মশালা (৪০৬ কিমি), আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাই (৪৫০ কিমি), এবং মুম্বাই থেকে পুনে (১১৯ কিমি) পাড়ি দিবে।

  • নেদারল্যান্ডস – ৬৯২৫ কিমি

টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচ হায়দ্রাবাদে খেলা সত্ত্বেও নেদারল্যান্ডসের সর্বমোট ভ্রমণ করতে হবে ৭০০০ কিমির কাছে পথ। তাঁরা দিল্লি, পুনে, কলকাতার মত শহরে একেকবার একেকটি ম্যাচ খেলবে।

  • বাংলাদেশ – ৭৩৩৪ কিমি

ধর্মশালায় দুইটি ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে যা তাঁদের পথ যাত্রার ঝামেলা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। তবে তৃতীয় ম্যাচের জন্য ধর্মশালা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত ২১৬৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে সাকিব বাহিনীকে। প্রস্তুতি ম্যাচ সহ হিসেবে করলে টাইগারদের প্রায় ৯০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সব মিলিয়ে।

  • শ্রীলঙ্কা – ৭৬৮০ কিমি

এই তালিকার মাঝামাঝিতে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা। তারা সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে লক্ষ্ণৌ থেকে বেঙ্গালুরুতে যেতে এবং সবচেয়ে কম পুনে থেকে মুম্বাইয়ে।

  • দক্ষিণ আফ্রিকা – ৭৭৯৯ কিমি

বিশ্বকাপের মাঝপথে মুম্বাইয়ে পরপর দুইটি ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাদের লিগ পর্বের সময় চারবার ১০০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে হবে। এবং যদি ওয়ার্ম-আপের হিসেব অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে সেটা পাঁচ বারে দাঁড়াবে। এই ক্ষেত্রে তাদের মোট অতিক্রান্ত পথ ১০০০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে।

  • ইংল্যান্ড – ৮১০৬ কিমি

এই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ব্যস্ততম দল ইংল্যান্ড। জস বাটলারদের দুইবার ১৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাড়ি দিতে হবে- একবার বেঙ্গালুরু থেকে লক্ষ্ণৌ, আরেকবার পুনে থেকে কলকাতা।

 

  • ভারত – ৯৭৬৭ কিমি

স্বাগতিক দেশ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ব্যস্ত দল ভারত। এই তালিকায় দুই নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের ব্যবধান প্রায় ১৬০০ কিমি। ফলে স্পষ্ট যে, পুরো আসর জুড়ে দেশের নানান প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হবে রোহিত শর্মাদের। আর প্রস্তুতি ম্যাচ সহ এই দলকে মোট ভ্রমণ করতে হবে ১২০০০ কিলোমিটারের বেশি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...