তাওহীদ হৃদয়ের রহস্যজনক আচরণ

হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছেন তাওহীদ হৃদয়, তবে ইতিবাচক নয় বরং বিতর্কের সাথে জড়িয়ে পড়েছে তাঁর নাম।

হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছেন তাওহীদ হৃদয়, তবে ইতিবাচক নয় বরং বিতর্কের সাথে জড়িয়ে পড়েছে তাঁর নাম। যেই বিতর্কে আবার যোগ হয়েছে তামিম ইকবালের নাম – যদিও সবকিছুই এখন ধোঁয়াশা হয়ে আছে ক্রিকেটভক্তদের কাছে।

বাংলাদেশ দলের হয়ে স্বপ্নের মত সময় কাটাচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন, হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দল হারলেও তিনি রানের দেখা পেয়েছেন। কিন্তু সেসব পাশে সরিয়ে শিরোনাম হয়েছে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট।

সম্প্রতি সিএ ক্রিকেটের এর সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন এই তরুণ, সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। চুক্তির বিষয়টি ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা দেন তিনি।

আর এই পোস্টের শেষদিকে সাবেক অধিনায়ককে তামিমকে ধন্যবাদ দিয়ে এই ডানহাতি বলেন, ‘যাকে আমি কোনভাবেই ভুলতে পারব না, তিনি তামিম ইকবাল ভাই৷ সম্মান, ভালবাসা, অনুপ্রেরণা শব্দগুলো আপনার সাথেই মানানসই। ধন্যবাদ।’

এতক্ষণ সব ঠিকঠাক ছিল কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে একটু পরেই, হুট করেই আলোচিত পোস্টটি ডিলেট করে দেন হৃদয়। তখনি সংশয় জেগে ছিল, কেন এমন একটি বাণিজ্যিক পোস্ট মুছে ফেলবে কেউ। তবে কি জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া তামিমের নাম থাকার কারণে তিনি বাধ্য হয়েছেন পোস্ট সরিয়ে নিতে, এমন প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটাঙ্গনে।

আর যদি উত্তরটা হ্যাঁ বোধক হয় তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে শঙ্কিত হতেই হবে। দেশের ক্রিকেট যখন দুই মেরুতে বিভক্ত তখন এই পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ড্রেসিংরুমের অনাকাঙ্ক্ষিত চিত্র অঙ্কন করে। সেক্ষেত্রে দায়টা নাজমুল হোসেন শান্তর ওপরও আসে, দলের নেতা হিসেবে সতীর্থদের বাইরের যেকোনো চাপ থেকে রক্ষা করা তাঁর দায়িত্ব। সবমিলিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের রহস্যজনক পোস্ট বড়সড় জবাবদিহিতার মুখে ঠেলে দিয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজম্যান্টকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...