তিন ডাকে হেডের মাথা হেঁট!

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ শুরুর পর শেষটা আর রাঙাতে পারলেন না এই অস্ট্রেলিয়ান দানব। যে ভারতকে কাঁদিয়ে জিতেছিলেন বিশ্বকাপের শিরোপা, সেখানে আইপিএলের শেষ বেলায় হয়ে রইলেন স্রেফ নিজের ছায়া।

দুয়ারে বিশ্বকাপ। আর ভারতের মাটি তাঁর বরাবরই পছন্দের। এমন একটা সময়ে প্রিয় জায়গায় ট্রাভিস হেড যে জ্বলে উঠবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু, তা আর হচ্ছে কোথায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ শুরুর পর শেষটা আর রাঙাতে পারলেন না এই অস্ট্রেলিয়ান দানব। যে ভারতকে কাঁদিয়ে জিতেছিলেন বিশ্বকাপের শিরোপা, সেখানে আইপিএলের শেষ বেলায় হয়ে রইলেন স্রেফ নিজের ছায়া।

গেল চার ম্যাচের তিনটাতেই ডাক মেরেছেন বাঁ-হাতি ট্রাভিস হেড। এর মধ্যে, রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৪ রানের এক ইনিংস খেলেন বটে, কিন্তু তাতেও লাগে ২৮ বল।

যে দানবীয় টপ অর্ডারের দাপটে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, তার ছিটেফোঁটাও যেন ছিল না টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে। এর বড় একটা কারণ অবশ্যই ট্রাভিস হেডের ব্যর্থতা।

শেষ চারের লড়াইয়ে যে দু’বার তিনি কলকাতা নাইট রাইর্ডার্সের মুখোমুখি হয়েছেন দু’টোতেই ডাক। চেন্নাইয়ের ফাইনালে আবার গোল্ডের ডাক। ব্যর্থতার ষোলকলাই পূর্ণ করে চলেছেন হেড।

অথচ, টুর্নামেন্টটা জুড়েই কি দারুণ ছন্দে ছিলেন হেড। শেষের দিকের ব্যর্থতার পরও ফ্র্যাঞ্চাইজি এই আসরের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। ৪০.৫০ গড়ে করেছেন ৫৬৭ রান। ঝুলিতে আছে একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি। এমন পরিসংখ্যানের পাশে তো তিনটা ডাক বড্ড বেমানানই বটে।

আরও বড় সমস্যা হল কোয়ালিটি পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে তাঁর অদক্ষতা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়েছে। কারণ, আর্শদীপ সিং, বৈভব অরোরাদের মত তরুণ হোক কিংবা মিশেল স্টার্কদের মত অভিজ্ঞ আর জাত পেসার হোক – কারও সামনেই দাঁড়াতে পারছেন না তিনি।

বাজে সময়ে এটা অবশ্য হতেই পারে। তবে, এই বাজে সময়টা বিশ্বকাপেও থাকলে সেটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুব সুখকর কিছু নিশ্চয়ই হবে না।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...