Social Media

Light
Dark

ব্রিটিশ ফুটবল স্বপ্নের সোনালী যুবরাজ

ব্রিটিশ ফুটবল স্বপ্নের সোনালী যুবরাজ তিনি। বেশ ব্যালান্সড দল গঠন করার পরও যখন স্রেফ কৌশলগত কারণ ইংল্যান্ড দিশাহীন ছিল মাঠে, তখন সেই যুবরাজই ভরসা। তিনিই দিলেন আশা, তিনিই যোগালেন ভরসা।

ads

ফলাফল, কোনোক্রমে একটা গোল নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আর বলে না দিলেও চলে যে, সবেধন নীলমণি সেই একটাগোল করেছেন স্বয়ং জুড বেলিংহ্যাম।

ইংলিশদের এবার বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই পড়তে হয়েছে সমালোচনায়। দল নিয়ে, বা নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড় নিয়ে তাঁদের আক্ষেপ কখনওই তেমন একটা থাকে না। সংকট হয় মাঠের পারফরম্যান্সে।

ads

এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাঁরা প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে যায় আইসল্যান্ডের বিপক্ষে। ফলে, রায়ান সাউথগেটের দলকে দুয়োধ্বনি শুনেই মাঠ ছাড়তে হয়।

কোচ সার্বিয়ার বিপক্ষে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও কি বা কেবল মুখের কথায় চিড়ে ভিজে? পুরো ম্যাচে গোলের জন্য মাত্র পাঁচটি শট নিতে পারে তারা, লক্ষ্যে থাকে তিনটি।

তবে, পার্থক্যটা গড়ে দেন ওই জুড বেলিংহ্যাম। রিয়াল মাদ্রিদে তিনি গিয়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি। আর সাম্প্রতিক সময়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে তিনি রীতিমত আকাশে উড়ছেন। আর এবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে তাঁর গোলেই কাঙ্খিত শুভ সূচনা করতে পারল ইংল্যান্ড দল।

জয় মানেই ৩ পয়েন্ট, আপাতত এটাই বড় স্বস্তির কারণ ইংল্যান্ডের জন্য। যত গর্জে তত বর্ষে না – বিশ্ব ফুটবলে বরাবরই এমন ইংল্যান্ড দল। বড় আসরে অনেক সম্ভাবনা নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়না অনেকদিন হল।

এবারের ইউরোতে ইংল্যান্ড কি ব্যতিক্রম কিছু করতে পারবে? করতে পারলে, তাতে অবশ্যেই বড় ভূমিকা রাখতে হবে জুড বেলিংহ্যামকে।

জার্মানির এই গেলসেনকির্শেনে ২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের কাছে ইংল্যান্ড হারে, পেনাল্টি শ্যুটআউটে। বেলিংহাম তখন মোটে তিন বছরের শিশু। ১৮ বাদে, অন্তত সেই দু:খটা কিছুটা হলেও কমাতে পারলেন বেলিংহ্যাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link