শাহীন-বাবর ইস্যুতে পিসিবির অন্দরমহলে ‘হট্টগোল’

কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করেছে যে শাহীন শাহ আফ্রিদি সহ-অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে এমন গুঞ্জনকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নীতি নির্ধারকরা।

খানিকটা দেরি করেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান, তবে ঘোষিত স্কোয়াডে কাউকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এটি নিয়ে আলোচনার জন্ম হয়েছে দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে। এরই মধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করেছে যে শাহীন শাহ আফ্রিদি সহ অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।

তবে এমন গুঞ্জনকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নীতিনির্ধারকরা। জানা গিয়েছে এবারের বিশ্বকাপে অধিনায়ক বাবর আজমের ডেপুটি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট। তাই শাহীন শাহকে প্রস্তাব দেয়ার প্রশ্নই আসে না।

পিসিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত শুক্রবার নির্বাচক মণ্ডলীর সভায় সহ-অধিনায়কের প্রসঙ্গ উঠেছিল বটে, কিন্তু আলোচনার পর সবাই একমত হয়েছিল যে, আপাতত এই পদে কাউকে রাখার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ কোন খেলোয়াড়কেই বাবরের সহকারী হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেছেন যে, নির্বাচক কমিটির মধ্যে শুধুমাত্র মোহাম্মদ ইউসুফ বাবর আজমের ডেপুটি নিয়োগের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য তাঁর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল, তাই এই ব্যাপারে আর কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অর্থাৎ পাক পেসারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোন কথা হয়নি টিম ম্যানেজম্যান্টের, তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ আলোচনা করে থাকলে সেটি আনুষ্ঠানিক কিছু ছিল না।

যদিও সহ-অধিনায়কের গুরুত্ব অস্বীকার করার সুযোগ নেই একদম। মাঠে অধিনায়ককে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করা কিংবা অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিতে হয় একজন সহ-অধিনায়ককে। এখন তাই দেখার বিষয়, বাবর কোন কারণে মাঠের বাইরে গেলে পাকিস্তানের হয়ে কে কাপ্তানি করেন।

এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য একজনই দিতে পারবেন। তিনি পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেন, যে কোনো জরুরী পরিস্থিতিতে সহ-অধিনায়ক নির্বাচনের স্বাধীনতা তাঁকে দেয়া হয়েছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...